তিন শিক্ষার্থীর জন্য সরকারি স্কুলে চার শিক্ষক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে তিনজন শিক্ষার্থী ক্লাসে আসলেও শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন চারজন। প্রতিষ্ঠানটির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী থাকলেও সে সংখ্যাও আশানরূপ নয়। কিন্তু কাগজে কলমে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৭০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত বলে দাবি করা হলেও শিক্ষার্থী সংকটে ধুকছে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি হওয়া হাতিবান্দা ইউনিয়নের হাতিবান্ধা হদিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ সংকটের জন্য প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলীকে দুষছেন স্থানীয়রা। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক বদলি হয়ে অন্য স্কুলে চলে যাওয়ার চেষ্টা।

জানা গেছে, ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টি সরকারি করা হয়। তখন থেকেই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ইয়াসিন আলী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম থেকেই এ বিদ্যালয়ে তেমন শিক্ষার্থী নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষার্থী না থাকায় শিক্ষকরা বলতে গেলে বসেই থাকেন আর মাস শেষে বেতনভাতা উত্তোলন করেন। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটা চলছে। শিক্ষক ইয়াসিন আলীকে শিক্ষার্থী সংকটের জন্য দায়ী করে এলাকাবাসী অভিয়োগ তুলেছেন, বদলি হয়ে দীর্ঘদিনের দোষ থেকে মুক্ত হতে চাইছেন প্রধান শিক্ষক।

সোমবার সরেজমিনে হাতিবান্ধা হদিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে ৩ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত। প্রতিবেদকের উপস্থিতি বুঝতে পেরে শিক্ষকরা এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন।

স্কুলে উপস্থিত চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানায়, নিয়মিত বিদ্যালয়ে ৫ থেকে ৬ জন শিক্ষার্থী আসেন।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সোমবার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছু কম হয়েছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী না থাকায় আমি নিজেই বদলির আবেদন করেছি।

ঝিনাইগাতী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নুরুন নবী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বিদ্যালয়টির অবস্থা খুবই নাজুক। এ কারণে প্রধান শিক্ষক ইয়াসিন আলী বদলি আবেদন করেছেন।