তিন কন্যার স্বপ্ন ও আশা

এমিলি আক্তার:

ইচ্ছা  থাকলে  উপায়  হয়।  এ  প্রবাদ  বাক্যটি র কথা আমরা সকলেই জানি। আর এই প্রবাদটিকে গুরুত্ব দিয়েই রাজশাহীর হেতেম খাঁ এলাকার শামীমা রায়হান, শামীনা রায়হান ও শাহীমা রায়হান তিন বোন নিজেদের স্বাবলম্বী করতে এই বছরের শুরুতে মেয়েদের যাবতীয় পোশাক নিয়ে শুরু করেন এস. আর ওমেন্স ওয়ার কালেকশন দ্যা ফিউচার অফ রিটেন এ্যাকোডিং টু সপারস নামে একটি ছোট্ট  ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই অল্প সময়ে তারা নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে তারা এই প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে অনেক স্বপ্নের বীজ বুনতে শুরু করেছে।
ছোট বোন শাহীমা রায়হানের উদ্দোগে ও সহায়তায় নিজেদের বাড়িতেই শুরু করে মেয়েদের যাবতীয় পোশাক নিয়ে ছোট্ট একটি ব্যবসা। বাসা থেকেই বিক্রী করত নিত্য নতুন কালেকশনের পোশাকগুলো। তারা প্রথমে কিছু পরিচিত জনদের মাধ্যমে বেচা বিক্রি করে।
“তিন বোনের স্বদিচ্ছা ও উদ্যোগে এবং ছোট বোনের সহায়তা ও পোশাক কালেকশনের মাধ্যমে শুরু করি এই ছোট প্রতিষ্ঠানটি। ছোট বোন ঢাকা থেকে পোশাক সরবরাহ করে আর আমরা এখানে নিজ বাসা থেকেই বিক্রী করে থাকি। শুরুর দিকে একটু হতাশাবোধ করলেও এখন অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছি।” এভাবেই বলছিলেন এস. আর ওমেন্স ওয়ার কালেকশন দ্যা ফিউচার অফ রিটেন এ্যাকোর্ডিং টু সুপারস শামীমা রায়হান।

এখনও আমাদের সমাজে মেয়েদের বাইরে কাজ করা কিংবা ব্যবসা করাটা সেভাবে মেনে নেয় না। কিন্তু এই দুই বোনের পরিবার তাদেরেকে মোটামুটি সাহস দিচ্ছেন। বিশেষ করে তাদের স্বামীরা তাদের শক্তি ও সাহস যোগাচ্ছে শুরু থেকেই। স্বামীদের জন্যই তাদের এই উদ্দোগ গ্রহণ করা এবং সাহসের সাথে এগিয়ে চলা।

এস. আর ওমেন্স ওয়ার কালেকশন দ্যা ফিউচার অফ রিটেন এ্যাকোডিং টু সপারস এর ছোট বোন শাহীমা রায়হান বললেন, “আমরা দুইবোনই চাকুরী করি, আপু প্রতিষ্ঠানটি দেখাশুনা করছেন। প্রথমে পরিচিত জনদের মাধ্যমে প্রচার করি এবং পরে রাজশাহী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাই দোকান দেয় পরিচিতির জন্য। আমাদের স্বামীরাই বেশী উদ্দোগী। তারাই আমাদের সাহস ও শক্তি যোগাচ্ছেন।”

এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে গিয়ে কোনো এনজিও বা ব্যাংক থেকে কোনো প্রকার ঋণ তারা গ্রহণ করেননি। বরং সম্পর্ণ নিজেদের অর্থ দিয়ে ও সাহস নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন। বর্তমানে সফলতার সাথে এই ছোট্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সামনের দিকে এগিয়ে চলছে।

এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে শামীমা রায়হান সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, “বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে আমরা স্বপ্নের বীজ বুনতে শুরু করেছি। ভবিষ্যতে বাড়ির সামনে একটি দোকান দিব এবং ধীরে ধীরে বৃহত্তর পরিসরে বাড়ানোর ইচ্ছা আছে।

 

আরডিএ বা নিউমার্কেটে দোকানের কথা বললে তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা আমাদের সুবিধার জন্য বাজার থেকে একটু বাইরে দোকান করতে চাচ্ছি ‘
সম্প্রতি রাজশাহীর সিএন্ডবি’র মোড় সংলগ্ন কালেক্টর মাঠে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ছোট বোনের স্বামীর সহায়তায় এবং পরিচিতি বাড়ানোর জন্য তারা মেলায় ছোট্ট একটি দোকান দিয়েছে। সেখানে এস. আর ওমেন্স ওয়ার কালেকশন এ মেয়েদের থ্রি পিচ, বোরখা, হিজাব, পালাজোসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
তবে তিনি জানান আমরা এবছর প্রথম হলেও সবার থেকে শুনছি প্রত্যেকবারের তুলনায় এ বছর মেলাতে ক্রেতার সংখ্যা কম।

 

স/আর