তালাবদ্ধ স্বাস্থ্যকেন্দ্র

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এই কেন্দ্রে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের পদটি বহুবছর খালি থাকায় এখানে মেলে না কোনো সেবা। অন্যকেন্দ্র থেকে সপ্তাহে দুদিন দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া থাকলেও তারা ঠিকমত ডিউটি করেন না বলে অভিযোগ। ফলে মাসের পর মাস তালাবদ্ধ থাকে কেন্দ্রটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা (এফডব্লিউভি), একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (সেকমো), আয়া ও পিওনসহ চারজনের সমন্বয়ে চলে একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সপ্তাহের ছুটির দিন বাদে শনি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত খোলা থাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র। হরিহরনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আয়া ছাড়া বাকি পদগুলো শূণ্য পড়ে আছে। মাঝেমধ্যে আয়া এসে কেন্দ্রটি পরিষ্কার করে বসে থাকলেও গত কয়েকমাস ধরে তিনিও আসেন না।

ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো দেখভালের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক চন্দ্র শেখর কুণ্ডু বলেন, ৫-৬ বছরের অধিকসময় ধরে হরিহরনগর কেন্দ্রে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শীকা ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারের পদ খালি রয়েছে। ওই কেন্দ্রের আয়া মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন।

ডা. কুণ্ডু বলেন, রোহিতা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এফডব্লিউভি রিনা পারভেজ ও সেকমো হযরত আলী সপ্তাহে দুদিন করে হরিহরনগর কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকেন।

স্থানীয় মনির হোসেন বলেন, ‘ছয়মাস ধরে কাউকে এখানে আসতি দেখিনে। সবসময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা মারা থাকে। ওষুধ যা আসে ওরা মাইরে খায়।’

এমন অভিযোগে এফডব্লিউভি রিনা পারভেজ ও সেকমো হযরত আলী জানান, তারা কেউ আজ (২৮ আগস্ট) হরিহরনগর কেন্দ্রে যাননি।

রিনা পারভেজ বলেন, ‘আমি অসুস্থ। কর্মকর্তাদের জানিয়ে বাসায় রয়েছি।’ আর সেকমো হযরত আলী বলেন, ‘অফিসের কাজ থাকায় স্যারদের বলে বাইরে রয়েছি।’

এ বিষয়ে ডা. কুণ্ডু বলেন, তাঁরা দুজন আমাকে কিছু বলেননি। অফিস সময়ে কেন হাজির থাকেননি সেটা জানতে আগামীকাল রবিবার তাদের অফিসে আসতে বলেছি।

মণিরামপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘তিন বছর আমি এখানে যোগ দিয়েছি। এসে শুনেছি হরিহরনগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এফডব্লিউভি ও সেকমোর পদটি খালি আছে। পদ দুটিতে লোক নিয়োগ দেওয়ার জন্য লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ