তারুণ্যনির্ভর শ্রীলংকাকে হারাতে ঘাম ছুটল টাইগারদের

জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে এমনেতেই অতিষ্ঠ জনজীবন। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের খেলা শুরুর সিডিউল রাখা হয় দুপুর ১টায়। কাঠফাটা রোদে এমনিতেই হাঁসফাঁস করছেন মানুষ। প্রাণ ওষ্ঠাগত গরমের মধ্যে টাইগারদের ঘাম ছুটিয়ে ছাড়ল শ্রীলংকা।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম খেলায় টস জিতে নিজের চেনা মাঠে তারুণ্যনির্ভর শ্রীলংকার বিপক্ষে টাইগার ব্যাটসম্যানদের কাঁপাকাঁপিতে শেষ পর্যন্ত ৬  উইকেটে ২৫৭ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম। এছাড়া ৫৪ ও ৫২ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও তামিম ইকবাল।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে টাইগারদের বোলিংলাইনআপ ভেঙ্গে দেয়ার পরিকল্পনা করে শ্রীলংকা।  প্রথম ৪ ওভারে ৬.৭৫ গড়ে ২৭ রান তুলে নেন দুই ওপেনার কুশল পেরেরা ও ধানুশকা গুনাথিলাকা।

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শ্রীলংকা। ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান খরচ করে লংকান চার তারকা ব্যাটসমান ধানুশকা গুনাথিলাকা, কুশল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও আশিন বান্দারাকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ।

মোস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসানের শিকার হয়ে ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস।

১০২ রানে প্রথম সারির ছয় ব্যাটসম্যানের উইকেট হারানো দলকে জয়ের জয়ের স্বপ্ন দেখিয়ে যান ভানিন্দু হাসারাঙ্গা। সপ্তম উইকেটে দাসুন শানাকাকে সঙ্গে নিয়ে ৪৭ রানরে জুটি গড়েন হাসারাঙ্গা। দলীয় ১৪৯ রানে ফেরেন শানাকা।

এরপর বাঁ-হাতি পেসার ইসুরু উদানাকে সঙ্গে নিয়ে অষ্টম উইকেটে দলের জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান তারা। তাদের এই জুটিই বেশি ভুগিয়েছে টাইগারদের।  ৪৪তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন সাইফুদ্দিন।  ৬০ বলে ৭৪ রান করে হাসারাঙ্গা আউট হলে জয়ের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় লংকানদের।

এরপর মাংশ পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে ফেরা মোস্তাফিজ শুশ্রুষা নিয়ে মাঠে নেমে শেষ দুই উইকেট নিয়ে শ্রীলংকাকে ৪৮.১ ওভারে ২২৪ রানে গুঁড়িয়ে দেন।