স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এ সভার আয়োজন করে।
মহিববুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তরুণ প্রজন্মকে ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে।
২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। উন্নত দেশের নাগরিক হিসেবে, আজকের তরুণদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে। সেক্ষেত্রে তরুণদের অংশগ্রহণে তামাক ও মাদক বিরোধী প্রচারণাকে আরও জোরদার করতে হবে এবং নিজেদেরকে দক্ষ এবং যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, তামাক হচ্ছে ক্ষতিকর একটি ফসল। এর চাষ এবং ব্যবহার আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তামাকসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকজাত দ্রব্য ব্যবহার করার ফলে আমাদের অসংখ্য মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। তামাকের ক্ষতি থেকে শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা গড়ার জন্য তরুণদের কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে তামাকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়ক ইফতেখার মুহসিন।
এছাড়াও সভা শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অ্যান্টি টোব্যাকো ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে তরুণ সমাজের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেন।
কর্মশালায় ধূমপানমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের ভূমিকা তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীরা। একই সঙ্গে তারা অন্যান্য শিক্ষার্থী এবং জনসচেতনতা তৈরি করতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।