তানোর চৌরখৈর স্কুলে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ  

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) চৌরখৈর  উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪টি পদে কর্মচারী নিয়োগে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৩মে) এলাকাবাসী ডাকযোগে (কুরিয়ার) স্থানীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা প্রশাসক ডিসি ও আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, স্কুলের ৪টি পদে জনবল নিযোগ দিয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিজির প্রতিনিধি, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মিলেমিশে লোপাট করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সাংসদের নাম ভাঙিয়ে এসব টাকা লোপাট করা হয়েছে। অথচ এই নিয়োগ কার্যক্রমে সাংসদের কোনো সম্পৃক্ততা নাই। অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী মতাদর্শীদের বঞ্চিত করে বিএনপি মতাদর্শীদের চাকরি দেয়া হয়েছে বলেও আলোচনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হলে, প্রতিষ্ঠানে ১৪৪ ধারা জারী, সীমানায় লাল  নিশান উড়ানো ও বিচারিক ক্ষমতা সম্পন্ন একজন সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু এসবের কোনো কিছুই করা হয়নি। নীতিমালা লঙ্ঘন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ডিজির প্রতিনিধি, সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আবেদনকারীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়েছেন। এদিন আয়া-পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তাকর্মী ও অফিস সহকারি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত (১২মে) শুক্রবার সন্ধ্যায় চৌরখৈর স্কুল মোড়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যে চারজন প্রার্থীকে আলাপ করতে দেখা গেছে। পরের দিন ১৩মে শনিবার চাকরির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কাকতালীয় ভাবে সেই চারজন উত্তীর্ণ হয়। এতে প্রমাণ হয় এটা জালিয়াতি করে নিয়োগ বাণিজ্যে। সরেজমিন তদন্ত করা হলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।

সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সারাদেশে যেভাবে নিয়োগ হয় এখানেও সেভাবে নিয়োগ হয়েছে, অনিয়ম-দুর্নীতির কোনো সুযোগ নাই।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন বলেন, কোনো অনিয়ম করা হয়নি। একটি মহল এসব অপপ্রচার করছে। এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক আইনাল হক বলেন, নিয়োগ হয়েছে নিয়ম অনুযায়ী।