তানোরে ১০০ বছরের পুরোনো রাস্তার উপর পাকা ঘর

তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মাদারীপুর বাজারের প্রায় ১০০বছর পুরোনো চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে পাঁকা ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে এলাকাবাসী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ করেছে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। এসময় ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলেন।

জানা গেছে, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর মৌজা জে এল নং ১৯২ খতিয়ান নং ৬১ দাগ নং ১৭৬ জমির পরিমান ১৮১শতাংশ এই হাটের প্রতিবছর এক লক্ষ টাকা ডাক হয়। মাদারীপুর বাজারে প্রবেশ করার প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো রাস্তা বন্ধ করে পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন ভবানীপুর গ্রামের কেতাব মন্ডলের পুত্র হামিদুর রহমান বিপুল। সরকার দলীয় কিছু নেতাদের ম্যানেজ করে সোমবার সকাল থেকে পাকা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে। তড়িঘড়ি করে পাকা ঘরের কাজ সম্পন্য করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এলাকাবাসী সেই দিনই বিষয়টি উপজেলা নিবার্হীকে জানান। হাটের মধ্যে দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হলে এলাকার জনগনের চরম ভোগান্তির শিকার হবে। হাটের পুর্বপাশ্বে চারটি গ্রাম আছে এই গ্রামের মানুষ গুলো চরম অসুবিধায় পড়বে।

বাতাশপুর গ্রামের ইন্তাজ আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার বাপ দাদার আমল থেকে শুনে আসছি হাটের মধ্যে দিয়ে ওই রাস্তাটি মানুষের চলাচলের রাস্তা। হঠাৎ করে সোমবার সকাল থেকে কেতাব মন্ডলের পুত্র হামিদুর রহমান বিপুল রাস্তা উপর পাকা ঘর নির্মান কাজ শুরু করে। যার ফলে হাটের মধ্যে কোন গাড়ি ঘুকতে পারবেনা। চরম র্দুরভোগে শিকার হবে এলাকাবাসী।

হামিদুর রহমান বিপুল বলেন, এই জায়গা আমার বাবার রেকোডিও সম্পত্তি। এতো দিন জায়গা পড়ে ছিল। সে জায়গার উপর দিয়ে হাটের লোকজন যাতায়াত করতো। এটা তো সরকারী জায়গা নয়। আমাদের ব্যক্তি মালিকানা জায়গা। লোকজন কোন দিক দিয়ে হাটবে সেটা দেখার আমার তো কোন প্রয়োজন নেয়।

তানোর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ওই জায়গা ব্যক্তি মালিকানা। কিন্তু প্রায় শত বছর ধরে ওই জায়গা দিয়ে হাটের লোকজনসহ হাটে আসা যানবাহন চলে। রাস্তা বন্ধ হলে হাটে আসা লোকজনদের সমস্যা হবে। সে জন্য আমি পাকা ঘর নির্মানের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলবো।

স/অ