তানোরে পত্রিকার কার্ড ব্যবহার করে বিএডিসির সার বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজশাহীর তানোরে এক বিএডিসি সার ডিলারের বিরুদ্ধে অবৈধ চোরাই সারে বাজার সয়লাব হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ডিলাররা সিন্ডিকেট করে গোপনে সার বাজারে বিক্রি করছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কামারগাঁ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি জুয়েল কবিরাজ বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে জম্পেশ ভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই পথে সার এনে রমরমা ব্যবসা করছেন। ফলে কোনটা আসল সার আর কোনটা নকল সার বোঝা বড় দায় হয়ে পড়েছে কৃষকের মধ্যে। জানা গেছে, কামারগাঁ ইউনিয়নের কামারগাঁ বাজারের বিএডিসির সার ও বীজ ডিলার জুয়েল কবিরাজ প্রতিনিয়ত মোহনপুর উপজেলা ও তার আশেপাশের উপজেলা থেকে চোরাই পথে সার কীটনাশক এনে কৃষককে জিম্মি করে বেশি দামে বিক্রি করছেন।এছাড়াও চোরাই পথে সার কীটনাশক এনে বেশি দামে বিক্রি করতে যেন কেউ বাঁধা দিতে না পারে সেই জন্য তার ছেলেকে করে দিয়েছেন বেশ কয়েকটি নামসর্বস্ব অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকের কার্ড।

এতে করে জুয়েল কবিরাজের ছেলে শাহরিয়ার আলম সিজারকে নামসর্বস্ব সাংবাদিকের কার্ড করে দিয়ে চালাচ্ছেন অবৈধ সার কীটনাশকের রমরমা ব্যবসা। সম্প্রতি,পহেলা মে দিবসে সরকারি ছুটির দিনে ভুটভুটি গাড়িতে করে মোহনপুর উপজেলা থেকে চোরাই পথে সার এনে গোডাউন জাত করার সময় হাতে নাতে আটক করেন কামারগাঁ ইউপির জনগণ। কিন্তু জনগণের কোথায় কোন কর্ণপাত না করে জোর করে সারসহ ভুটভুটি গাড়িটি গোডাউনে ঢুকিয়ে সার গুলো নামিয়ে নেন জুয়েলের ছেলে সিজার।

এসময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত হয়ে সারের বিষয়ে জানতে চাইলে জুয়েল কবিরাজের ছেলে সিজার পকেটে থেকে দুই তিনটি সাংবাদিকের কার্ড বের করে দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেন,আমিও সাংবাদিক, এরকম দু’চারটা সাংবাদিকের কার্ড আমার পকেটে থাকে। আপনারা আমার দোকানে চাঁদাবাজি করতে এসেছেন বলে দম্ভোক্তি দেখান। এতে করে বিএনপি নেতা থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে জুয়েলের এমন চাঞ্চল্যকর জঘন্য কান্ডে এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে চাঞ্চল্য ও বইছে মুখরোচক সমালোচনার ঝড়।

এবিষয়ে জানতে বিএডিসির সার ও বীজ জুয়েল কবিরাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেন,সার যেখানেই থেকে আসুক সেটা কৃষি কর্মকর্তা দেখবে, এখানে সাংবাদিকরা কেন আসবে, সাংবাদিকদের যা কাজ সেটা করবে,আমার ছেলেও সাংবাদিক যদি কোন সাংবাদিকরা নিউজ করে তাহলে পারলে আমরা ছেলেও তাদের বিরুদ্ধে নিউজ করবে বলে দম্ভোক্তি দেখান তিনি।

তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, বাহিরে থেকে সার আনার কোন সুযোগ নেই,আনলেও তাদের কাছে মেমো থাকতে হবে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে, অভিযোগ পাওয়ার পরে বিষয়টি কৃষি কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ডিলারের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।