তানোরে ধান ব্যবসায়ীর হাত ধরে উধাও দুই সন্তানের জননী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে এক ধান ব্যবসায়ীর হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন দুই সন্তানের এক গৃহবধূ। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়ন (ইউপির) দরগাডাঙ্গা ও ঘৃতকাঞ্চন এলাকায়।

এঘটনায় ওই গৃহবধুর স্বামী ময়েন উদ্দিন শনিবার তানোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে, অভিযোগে স্ত্রী উধাও হওয়ার সময় সোনা ও টাকা নিয়ে গেছেন বলে জানানো হয়েছে।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কলমা ইউপির দরগাডাঙ্গা বাজারের ধান ব্যবসায়ী দুই সন্তানের জনক আলমগীরের সাথে একই এলাকার ঘৃতকাঞ্চন গ্রামের ময়েন উদ্দিনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী লাবনী বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। পরকীয়া প্রেমকে পরিপূর্ণতা দিতে আলমগীর লাবনী বেগমকে নিয়ে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। এখন পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়া পরকীয়া জুগলকে খুজে পাওয়া যায়নি। প্রেমিক আলমগীরের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীরের সংসার জীবনে দুটি মেয়ে সন্তান হয়। অপরদিকে, লাবনী বেগমেরও দুটি সন্তান রয়েছে। তারা তাদের সন্তানদের রেখে পালিয়েছেন। তারা তো প্রেম লিলায় আনন্দে সময় পার করছেন। কিন্তু সন্তানদের কি হবে একবার ভাবেনি কেউ। তাদেরও প্রেম লীলা শেষ হবে যখন কলহ বিবাদ শুরু হবে। আসলে গ্রামে এসব এখন বেশি হচ্ছে কারণ একটাই কলকাতার সিরিয়াল, ক্রাইম এলার্ট দেখে জীবনে বাস্তব রুপ দিচ্ছে সন্তানের পিতা মাতারা বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। আবার এঘটনা রফাদফা করতে উঠেপড়ে লেগেছেন মেম্বার নাজিমুদ্দিন।

উভয়ের পরিবারের লোকজন জানান, যারা এই বয়সে সন্তান রেখে স্বামীর সুখের সংসার ভেঙ্গে ফেলে অন্যের হাত ধরে পালায় তারা জীবনে সুখি হতে পারে না। আলমগীর দুই মেয়ে স্ত্রী রেখে লাবনী বেগমকে নিয়ে পালিয়ে গেল। আর লাবনী এক পুত্র আর এক মেয়ে সন্তান রেখে উধাও হয়ে গেল।

তাদের ৬টি জীবন ও দুটি সংসার তছনছ হল। সারাজীবন সন্তানদের অপবাদ সইতে হবে। আর এসব সন্তানরাই ভয়ংকর হয়ে উঠে। এদের আইনের আওতায় এনে কঠোর সাজা দিলে যদি সমাজ থেকে এ ধরনের পরকীয়া বন্ধ হয়।

ওই এলাকার মেম্বার নাজিমুদ্দিন বলেন, তাদেরকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। থানায় অভিযোগ করেছে লাবনীর স্বামী ময়েন উদ্দিন বলে এড়িয়ে যান তিনি।

এব্যাপারে তানোর থানার ওসি কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে গেছে লাবনী বেগম মর্মে তার স্বামী অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান ওসি।