তাদের উদ্বেগ এখনো কাটেনি

সিল্কসিটিনিউজ বিনোদন ডেস্ক:

গত শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অমানবিক হত্যাযজ্ঞ চালায় সন্ত্রাসীরা। শ্বাসরুদ্ধকর দীর্ঘ জিম্মি সংকটের অবসান ঘটে পরের দিন (শনিবার) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে।

 

ভয়ঙ্কর সেই রাতের কথা এখনো ভুলতে পারছেন না অনেকে। এ ঘটনা প্রসঙ্গে কথা হয়েছে শোবিজ অঙ্গনের তিন তারকার সঙ্গে।তারা জানিয়েছেন নানা কথা।

 

পরিবারকেই বড় ভূমিকা রাখতে হবে

চঞ্চলচৌধুরী : হঠাৎ করে দেশে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা দেবে ভাবতেও পারিনি।  আমাদের সন্তানরা কোন ভয়াবহতার মুখোমুখি হবে সেটা ভাবছি। দেশপ্রেম ছাড়া এই অবস্থা থেকে মুক্তির কোনো পথ খোলা নেই। আমার মনে হয়, এর জন্য পরিবারকেই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে।

 

নির্মম স্মৃতি নিয়ে জন্মদিন ফিরে আসবে

তমালিকা কর্মকার :  গত শুক্রবার ছিল আমার জন্মদিন।  আর দেশে এই পরিস্থিতির জন্ম হল।  শুক্রবার আমি বাসা থেকে বের হয়ে মগবাজারে গিয়েছিলাম। হঠাৎ মায়ের ফোন ‘কোথায় আছ? বাসায় চলে এসো। গুলশানের দিকে কিন্তু যাবে না।’ আমি দ্রুত বাসায় চলে যাই। টেলিভিশনে দেখলাম সেই ভয়াবহ দৃশ্য। এরপর থেকে আর স্বাভাবিক হতে পারছি না। আসলে সব কিছু এখন থেকে ঠিকঠাক মতো চললেও আরো ১৫/২০ বছর লাগবে আমাদের স্বাভাবিক হতে। এই যে উন্নয়ন সেটা অবকাঠামো দিক দিয়ে যতটা হয়েছে মানবিক দিক ততটা হয়নি। আমরা কেবল অন্যদের  মতো ভদ্র হওয়ার চেষ্টা করছি। খুব তাড়াতাড়ি সব কিছু আগের মতো হবে না। আর জন্মদিনগুলো ফিরে আসবে এই নির্মম স্মৃতি নিয়ে। আমাদের সামনে এখন বিরাট প্রশ্ন, যারা দেশের উন্নয়নে কাজ করতে এসেছিল সেই বিদেশিদের জঙ্গিরা কেন হত্যা করল?

 

কোথাও আস্থা রাখা যাচ্ছে না

ফারজানা চুমকি : ভয় পাচ্ছি। প্রতিনিয়তই ভয় হচ্ছে। কী নৃসংশভাবে খুন হয়ে গেল মানুষগুলো! এখন মনে হচ্ছে এই যে, আমার পাশের মানুষ, যাদেরকে খুব কাছ থেকে দেখছি, তাদের মধ্যে আবার এমন কেউ নেই তো? বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জঙ্গিদের ছবি দেখছি। তাদের লাইফস্টাইল সম্পর্কে নানা তথ্য বের হয়ে আসছে। শুনছি, তারা নাকি তিন মাস নিখোঁজ ছিল। আগের জীবনযাপনের যে চিত্র আমাদের সামনে উঠে এসেছে তা দেখে মনে হচ্ছে- তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মাত্র তিন মাসের ব্যাবধানে এতটা পরিবর্তন কীভাবে হতে পারে? কোথাও আস্থা রাখা যাচ্ছে না। আমি আমার দুই সন্তানের দিকে তাকালে অসহায়  বোধ করছি।

সূত্র: রাইজিং বিডি