তবে কি তা হাতির ধূমপান!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বনের মধ্যে কাঠকয়লার ধোঁয়া গিলছে এক হস্তিনী। তাই দেখে অবাক সবাই। হস্তিনীর এই ধূম্রপ্রীতি নিয়ে রীতিমতো গবেষণা শুরু করেছেন সবাই। কাঠকয়লা কি হস্তিনী নিজের পুষ্টির জন্য খায়? নাকি কোনো ওষুধ হিসেবে খায়? নাকি কাঠকয়লা তার পছন্দ!

ধোঁয়া খাওয়ার সময় হস্তিনীর ভিডিও ধারণ করেন বন্য প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার বিজ্ঞানী বিনয় কুমার। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের নাগরহোল বনে গত বছরের এপ্রিল মাসে ৪৮ সেকেন্ড ধরে এই ভিডিও ধারণ করেন তিনি। তবে ভিডিওটি তিনি প্রচার করেননি।

সম্প্রতি বিবিসিতে প্রকাশিত হয় হস্তিনীর ধোঁয়া খাওয়ার খবর। এই প্রথমবারের মতো বুনো হাতির এ ধরনের আচরণ দেখা গেল। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানী বিনয় কুমার বলেন, খুব ভোরে তিনি ও তাঁর দল ওই বন ঘুরে দেখেন। তাঁরা বনের বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসান, যাতে বাঘের ছবি নিতে পারেন। তিনি ক্যামেরার ৫০ মাইলের মধ্যে হস্তিনীকে দেখেন। এরপর সেই হস্তিনীর ভিডিও করেন।

হস্তিনীটি কাঠকয়লার আগুন থেকে ওঠা ধোঁয়া গিলছিল। এরপর বের করে দিচ্ছিল। বিনয় কুমার বলেন, হস্তিনীকে দেখে মনে হচ্ছিল, তা যেন ধূমপান করছে। হস্তিনীটি একরাশ ধোঁয়া বা বাতাস মুখের মধ্যে নিচ্ছিল। এরপর আবার মুখ থেকে বাতাস বের করে দিচ্ছিল।

হাতি বিশারদ বরুণ আর গোস্বামী ভিডিওটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। তিনি বলেন, হস্তিনীটি ধোঁয়া খাওয়া ও ছাড়ার পর কিছুক্ষণের জন্য বিশ্রাম নেয়। বুনো প্রাণীদের খাবার হিসেবে কাঠকয়লার খুব বেশি পুষ্টিগুণ নেই। তবে ঔষধি গুণের কারণে বুনো প্রাণীরা কাঠকয়লার প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কাঠকয়লা পশুদের খাবার হজমে সাহায্য করে। এ কারণেও হস্তিনীটি তা খেতে পারে।

প্রথম আলো