সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির করায় দুই ছাত্রকে মারধর করে আবাসিক হল থেকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ।
এরমধ্যে একজনকে মারধরের পর তার মানিব্যাগ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ছাত্রদল করার ‘অপরাধে’ মনোবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাকিবুল হাসান এবং একই বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মো. সুমনকে মারধর করেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর তাদেরকে হল থেকে বের করে দেয়া হয়।
আর এ কাজে নেতৃত্ব দেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও আসন্ন হল কমিটির শীর্ষ পদপ্রত্যাশী আফসার হাসান।
শুধু তাই নয়, আফসার হাসান ভুক্তভোগী সুমনের মানিব্যাগ থেকে তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, হলের ১১১ নম্বর কক্ষে সুমন ও ১১৩ নম্বর কক্ষে রাকিব ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে আফসার হাসানের নির্দেশে হল শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলে হলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে নিয়ে যান।
সেখানে ছাত্রদল সংশ্লিষ্টতার জন্য তাকে মারধর করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
পরে আফসার হাসানের নেতৃত্বে হলের অতিথিকক্ষে নিয়ে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশি ও মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রাকিবুল হাসান বলেন, আমরা ছাত্রদলের সমর্থক হলেও কোনো দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিই না। প্রত্যেকের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতেই পারে। কিন্তু বৈধ ছাত্র হিসেবে হলে থাকার অধিকার আমার আছে।
‘কিন্তু ছাত্রলীগের নেতারা আমাদের হলের ত্রিসীমানায় যেতে মানা করেছেন, গেলে মারধরের হুমকি দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, আপাতত এক বন্ধুর বাসায় আছি। ঢাকায় আমার থাকার তেমন কোনো জায়গা নেই।
সুমনের অভিযোগ, তার মানিব্যাগ সার্চ করার সময় আফসার হাসান মানিব্যাগে থাকা তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু ভয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও স্যার এএফ রহমান হলের ছাত্র শামসুল হুদা বলেন, রাকিব ও সুমন আমাদেরই ছোট ভাই। তারা ছাত্রদলের সমর্থক হলেও নানা কারণে দলীয় কর্মসূচিতে আসে না।
তবে দুই ছাত্রকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা আফসার হাসান।