ঢাকার ১৮০ স্পটে করোনা রোগী ১৯ হাজার ১০০

রাজধানী ঢাকার মেট্রোপলিটন এলাকার ৮টি বিভাগের ৪৬টি থানার ১৮০টি স্পটে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। ৬ জুন পর্যন্ত এসব এলাকায় সর্বমোট ১৯ হাজার ১০০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। রাজধানীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শীর্ষ তালিকায় রয়েছে মতিঝিল ও লালবাগ। সবচাইতে কম উত্তরায়।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতোমধ্যেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৮০টি স্পটের ১ হাজার ৩০টি এলাকার ১ হাজার ৭৫৪টি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে। আক্রান্ত স্পট ও এলাকার ওপর ভিত্তি করে রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে।

এই চিহ্নিত তালিকা অনুযায়ী রোববার থেকে এলাকাভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ লকডাউন করা হতে পারে। দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। শুরুর দিকে সংক্রমিত রোগী ও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা স্বল্পসংখ্যক থাকলেও ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়তে থাকে। সম্প্রতি আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুসারে ৮ মার্চ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বমোট তিন লাখ ৮৪ হাজার ৮৫১টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৩ হাজার ২৬ জন রোগী সনাক্ত ও মে‌াট ৮৪৬ জ‌নের মৃত্যু হয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের তালিকার শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা তথা ঢাকা বিভাগ।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ৬ জুন পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার আটটি বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক ৩ হাজার ১৪০ জন রোগী রয়েছে মতিঝিলে। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৯৭ জন রয়েছে লালবাগে।

এছাড়া মিরপুরে ২ হাজার ৯১৫ জন, রমনায় ২ হাজার ৬৮৮ জন, ওয়ারীতে ২ হাজার ৪৯৪ জন, তেজগাঁওয়ে ২ হাজার ২২৬ জন, গুলশানে ১ হাজার ৫২৫ জন ও উত্তরায় ১ হাজার ১৫ জন আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।

এরপর যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে সেসব এলাকা হলো: মহাখালী (৪৫০), যাত্রাবাড়ী (৪১১), কাকরাইল (৩৯৩), মোহাম্মদপুর (৩৮৯), মুগদা (৩৭৬), রাজারবাগ (৩৪৬), ধানমন্ডি (২৯৪), মগবাজার (২৬৫), লালবাগ (২৭৯), উত্তরখান (২৬০), উত্তরা বেড়িবাঁধ (২৫২), বাবুবাজার (২৩৯), তেজগাঁও (২৩৭)।