ডেঙ্গু হলে কী সর্দি-কাশিও হয়?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী মশা কামড়ানোর চার থেকে সাত দিন পর উপসর্গ লক্ষণীয় হয়। সাধারণ উপসর্গ হল- জ্বরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ বেড়ে যায়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে।

বিরামহীন মাথাব্যথা, হাড়, হাড়ের জোড় ও পেশিতে তীব্র ব্যথা, বমি ভাব/বমি হওয়া, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, সারা শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়া, চোখের পেছনে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি। ডেঙ্গু যদি প্রথমবার আক্রান্ত করে এবং এটি যদি তরুণ বয়সে/শিশুদের হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ থাকে না।

জ্বরও থাকে না, এ রকমও হতে পারে। টিপিক্যাল ডেঙ্গু/ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুতে জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি থাকতে পারে।

জ্বর ১০২-এর নিচে থাকলে ৬ ঘণ্টা পরপর প্যারাসিটামল খান, ১০২-এর ওপরে গেলে প্যারাসিটামল সাপোজিটরি দেন।

প্যারাসিটামল ব্যতীত অন্য কোনো ব্যথার ওষুধ খাবেন না, কারণ ব্যথার মেডিসিন খেলে রক্তক্ষরণ হতে পারে, এমন কি মৃত্যু হতে পারে।

এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু সেরে যায়। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে। এ ক্ষেত্রে মৃত্যু ঝুঁকি থাকে।

হেমোরেজিক ফিভারের মধ্যে রক্তপাত নিয়ে আসতে পারে। সরাসরি শকে চলে যেতে পারে। এগুলো অস্থিতিশীল। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গুতে রক্তপাত হয়, রোগী মারা যায় না। হেমোরেজিক ফিভারের মধ্যে যেগুলো শকে চলে যাচ্ছে, পাশাপাশি এক্সপেনডেট ডেঙ্গু শক সিনড্রম, এগুলো হল অস্থিতিশীল।

ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের উপসর্গ- শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হওয়া কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া। ত্বক শীতল হয়ে যাওয়া। অবিরাম অস্বস্তি, ত্বকের ভেতরের অংশে রক্তক্ষরণের কারণে ত্বকের ওপরের অংশে লাল ছোপ সৃষ্টি হওয়া।

বমি, মল কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, প্রচণ্ড পেটব্যথা ও অনবরত বমি হওয়া, নাক ও দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ ও অবসাদ। এ উপসর্গ হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।