ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন ?

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্ডাস্ট্রির সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। আর এ কারণে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার গুরুত্ব।নিশ্চিত কর্মসংস্থানের একমাত্র এবং পরিক্ষিত মাধ্যম হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা। সারা বিশ্বে জেনারেল শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষা বেশ জনপ্রিয় এবং মর্যাদাপূর্ণ।

  • বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সেমিস্টার পদ্ধতিতে ৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কেননা এ কোর্স সম্পন্ন করে সরকারি চাকরিতে ২য় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করা যায়।
  • সরকারি-বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি বৈদেশিক কর্মসংস্থানেরও রয়েছে যথেষ্ট সুযোগ। আর কেউ উচ্চতর ডিগ্রি নিতে চাইলে সে সুযোগতো রয়েছেই।
  • ডিপ্লোমা পাশ করার পর B.Sc ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ ছাড়াও ২ বছরের A.M.I.E পরীক্ষার মাধ্যমে B.Sc ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার সুযোগ।
  • ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর মর্যাদাপূর্ণ চাকরি অথবা পছন্দমত ব্যবসা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
  • ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট সারা বিশ্বে স্বীকৃত।
  • সেশনজট মুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা।

 

ডিপার্টমেন্ট অব কম্পিউটার টেকনোলজি

তথ্য প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত করেছে। আধুনিক এই যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমাদের জীবন যাপনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। এই পরিবর্তনশীল সময়ের সাথে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় নিয়ে আসে কম্পিউটার প্রযুক্তি। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে নিজেকে আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে কম্পিউটার টেকনোলজি পড়ার বিকল্প কিছু হতে পারে না। একমাত্র কম্পিউটার টেকনোলজিই পারে বহুমূখি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে কম্পিউটার টেকনোলজি অপরিহার্য। ২০১১ সালে প্রতিটি কোর্সে কম্পিউটার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহে ই-গভর্নেস চালু করতে যাচ্ছে, সেহেতু অনুমান করা যাচ্ছে যে, কম্পিউটার টেকনোলজির কর্মসংস্থানের ব্যাপ্তি কত বিশাল হতে পারে। ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি আপানাকে সামিল করবে কম্পিউটার প্রযুক্তিবিদদের প্রথম সারিতে। এই ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি হবে অবারিত কম্পিউটার সম্পর্কিত কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের আপনার প্রথম চাবিকাঠি।

কম্পিউটার টেকনোলজিতে পড়তে প্রয়োজনীয় ল্যাবসমূহ:

  • Computer Lab-1 (Advanced Software)
  • Computer Lab-2 (Network)
  • Computer Lab-3 (Computer Drafting)
  • Hardware Lab
  • Electrical Lab
  • Electronics Lab

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কর্মক্ষেত্র সমূহ:

  • দেশে বিদেশে Computer Software Company গুলোতে Assistant Programmer পদে চাকরির সুযোগ আছে।
  • সরকারি বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের Hardware Engineering and Assistant Networking Administrator পদে প্রচুর চাকরির সম্ভাবনা আছে।
  • বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ব্যাংক গুলোতে Maintenance and IT Officer পদে চাকরির সুযোগ আছে।
  • বিভিন্ন Print Media and Electronics Media তে Graphics Designer, Hardware Engineering, Animation, Programmer and Network Engineering পদে প্রচুর চাকরির সুযোগ আছে।
  • বর্তমানে যে কোন মোবাইল কোম্পানি ও ওয়ার্লেস কোম্পানিতে প্রচুর চাকরির সুযোগ রয়েছে।
  • সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক গুলোতে জুনিয়ার ইনস্ট্রাক্টর পদে ও ভকেশনাল ইনস্টিটিউট গুলোতে ইনস্ট্রাক্টর পদে অসংখ্য চাকরির সুযোগ রয়েছে।

কম্পিউটার এ উচ্চ শিক্ষার সুযোগঃ

একজন Computer Diploma Engineer যে সকল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন, সেগুলো হলোঃ

  • Computer Science & Engineering
  • B.Sc (Hons) in Computer Science
  • B.Sc (Hons) in information Science
  • B.Sc(Hons) in information and Computer Technology
  • Software Engineering
  • B.Sc. (Hons) in Data Communication and Networking
  • Multimedia Technology
  • Bachelor of Computer Application

একজন Computer Diploma Engineer উপরোক্ত বিষয়গুলোতে যেকোন দেশে সরাসরি ২য় বর্ষে ভর্তি হতে পারবে। এছাড়া অন্য যে কোন Subject এ ১ম বর্ষে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের বাহিরে ভারত, মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, সাইপ্রাস, জার্মানি ইত্যাদি দেশেও এসব বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

ডিপার্টমেন্ট অব মেকানিক্যাল টেকনোলজি

বর্তমান বিশ্বে মেকানিক্যাল টেকনোলজিকে Mother টেকনোলজি নামে আখ্যায়িত করা হচ্ছে। পৃথিবীতে উন্নত রাষ্ট্রগুলো উন্নত হচ্ছে এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে। মেকানিক্যাল টেকনোলজিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সভ্যতায় সকল আধুনিক যন্ত্রপাতি পরিচালনার জন্য মেকানিক্যাল টেকনোলজির অবদান অপরিসীম এবং এর গুরুত্ব চিরকাল থাকবে। ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার, টেক্সটাইল, সিভিল টেকনোলজি এর সিংহভাগ মেকানিক্যাল টেকনোলজির সাথে অতোপ্রতভাবে জড়িত। উন্নত জীবন যাপনের জন্য মানুষের প্রতিটি মুহুর্তেই মেকানিক্যাল টেকনোলজির যন্ত্রপাতির সাথে জড়িত। বাস্তব ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই মেডিকেল ইনস্ট্রুমেন্ট ইলেকট্রনিক ও কম্পিউটারাইজ যন্ত্রপাতি সব কিছুই মেকানিক্যাল টেকনোলজিতে পড়ে। তাই মেকানিক্যাল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমাধারীর জন্য অপেক্ষা করছে নিশ্চিত ভবিষ্যত।

মেকানিক্যাল টেকনোলজি পড়তে প্রয়োজনীয় ল্যাব সমূহঃ

  • Hydraulics Lab
  • Computer Lab
  • Drawing Lab
  • Physics & Chemistry Lab
  • Machine Shop Lab
  • Welding Lab

চাকরির ক্ষেত্র সমূহঃ

  • দেশের বৃহত্তম সরকারি প্রতিষ্ঠান: Roads and Highway Department (R & HD), Public Work Department (PWD), LGED, BADC ইত্যাদিতে Sub Assistant Engineer পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
  • দেশের বৃহত্তম অন্যান্য সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান যেমন- পরমাণু শক্তি কমিশন, Water Development Board (WDB), Power Development Board (PDB), DESCO, BRTC, PGCB, WASA, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ পাট উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ও বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ড ইত্যাদিতে Sub Assistant Engineer পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
  • দেশের বিভিন্ন Textile Sector, Medical Instrument, TV Channel, Garments Industry, Automobile Company, ওষুধ কোম্পানি, সিমেন্ট ও রড কোম্পানি এবং যে কোন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্যাক্টরীতে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
  • এছাড়া সরকারি বেসরকারি সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এসএসসি ভোকেশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে চাকরির সুযোগ রয়েছে।
  • দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের প্রচুর সুযোগ রয়েছে।

উচ্চ শিক্ষার সুযোগঃ

  • সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিএসসি ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • এদেশে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের উচ্চ শিক্ষার জন্য পৃথক একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। (ডুয়েট, গাজীপুর)।
  • A.M.I.E কোর্সের সুযোগ রয়েছে।
    সূত্র: টেক টিউনস