ডিডিটি পাউডার ধ্বংসে ১৩৬ কোটি টাকার অনুদান

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

দেশে সংরক্ষিত পরিবেশ ও মানুষের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক ডিডিটি পাউডার ধ্বংস করতে সহায়তা দেবে এফএও এবং জিইএফ। এ জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও’র সঙ্গে একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

তিন বছর মেয়াদি ‘পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ’ নামক প্রকল্প বাস্তবায়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং এফএও’র কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রর্বাট ডি স্যাম্পসন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্লোবাল ইনভারমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) উৎস থেকে ৭০ কোটি ১০ লাখ এবং এফএও থেকে ৬৬ কোটি ২৫ লাখ- মোট ১৩৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। বাকি ২১৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় হবে।

ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৯৮৫ সালে এই ডিডিটি পাউডার আমদানি করে। কিন্তু এর চালান গ্রহণের সময় মেয়াদোত্তীর্ণের বিষয়সহ এর মধ্যে মারাত্মক ক্ষতিকারক উপাদান বিদ্যমান থাকার বিষয়টি উদঘাটিত হয়। সেই সময় থেকে এগুলো ঝুঁকিপূর্ণভাবে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এ পর্যন্ত পাউডার অপসারণ করা কিংবা বিনষ্ট করা সম্ভব হয়নি।

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল- চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি মেডিকেল সাব-ডিপোতে দীর্ঘদিন সংরক্ষিত ৫০০ টন মারাত্মক ক্ষতিকারক ডিডিটি পাউডার এবং এই অধিদফতরের আরও তিনটি মেডিকেলের সাব-ডিপোতে জমানো মেয়াদোত্তীর্ণ ৫০০ টন ক্ষতিকর ডিডিটি পাউডার সর্বমোট এক হাজার টন ডিডিটি পাউডার অপসারণ করে পরিবেশগত দিক দিয়ে নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের বাইরে নির্ধারিত স্থানে বিনষ্ট করা।

এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ডিডিটিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনাসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায় কর্মশালা, সেমিনার আয়োজন করা এবং পরিবেশ-কৃষি-মৎস্য-প্রাণিসম্পদ এবং স্বাস্থ্য সেবার সঙ্গে জড়িত বিভাগগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্য অংশীজনকে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে।