ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ফেইসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ফেইসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয়, অপরাধ নিয়ন্ত্রণই এ আইনের মূল লক্ষ্য।

শনিবার রাজধানীর তেজগা’য়ে এফডিসি মিলনায়তনে ‘আইনি নিয়ন্ত্রণই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দায়িত্বশীল করবে’ শীর্ষক সংসদীয় ধারার এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এ অপরাধকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হবে না।

এটিএন বাংলা এবং ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকতায় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহম্মদ খান, অধ্যাপক আবু রইস এবং ড. এস এম মোর্শেদ।

উদ্বোধনীতে নর্থ সাউথ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। বিচারকদের রায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।

বির্তক শেষে দেয়া বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, যা ইচ্ছা তাই করার নাম গণতন্ত্র না। এখন প্রচলিত শাসন ব্যবস্থা নিয়ে মাথা ঘামানো নয় । ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার তালা মেরে বন্ধ রাখাও নয় । ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস্তবায়নে প্রযুক্তি ব্যবহার অবশ্যই প্রয়োজন।

মোস্তাফা জব্বার আরও বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় যারা গুজব ছড়িয়েছেন তাদের সবাইকে প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুজবকারীদের আইপি ঠিকানা ও মোবাইল ট্র্যাকিং করে ধরে বিচারের সামনে আনা হয়েছে।

পৃথিবীর অনেক দেশে সাইবার আইনসহ বিভিন্ন আইন থাকলেও কোথাও ডিজিটাল আইন নেই। বাংলাদেশেই প্রথম এই আইন হচ্ছে। আমেরিকাসহ অনেকের কাছে বাংলাদেশের এই আইন এখন উদাহরণ-বলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, আগে ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ৫৭ ধারা ছাড়া কোনো আইন ছিল না। এখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস হলে ৫৭ ধারা থাকবে না।

‘৩২ ধারাতে থাকা ‘গুপ্তচর’ বিষয়টিও আর রাখা হয়নি। কেউ অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সংক্রান্ত বিষয় লংঘন করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। দুর্নীতির জন্য ছবি তোলেন, পারলে সব ডেটা প্রকাশ করেন, এই আইন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না।‘-বলছিলেন মোস্তাফা জব্বার।