ডা. সাবরিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন মামলার বাদী

করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী মো. কামাল হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে এ সাক্ষ্য দেন। এ সময় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

এদিকে, গত ২০ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের এ দিন ধার্য করেন। গত ১৩ আগস্ট মামলার নথি পাননি বলে আদালতে পাঁচ আসামি সময়ের আবেদন করেন। পরে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে শুনানির এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াদ ১৩ আগস্ট অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য করেন। এরপর তিনি মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে বদলি করেন। গত ৫ আগস্ট করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় সাবরিনা ও আরিফুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত সংস্থা। সেখানে সাবরিনা ও আরিফকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছে।

গত ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গত ১২ জুলাই দুপুরে সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাবরিনাকে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা জব্দ করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ