ট্রেনে ডাকাতি শেষে হত্যা করা হয় সেনা সদস্যকে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেনে দুস্কৃতিকারীদের ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া সেনা সদস্য আবদুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে কুমিল্লার লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ। পুলিশের দাবি, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ওই ২ জন স্বীকার করেছে, ট্রেনের ছাদে ওই সেনা সদস্যকের মালামাল ডাকাতি করে হত্যার পর ট্রেনের ছাদ থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

 

এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর গ্রামের মৃত.রুহুল আমিনের ছেলে বাবুল এবং চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলার মৌলভীপাড়া ইস্কান্দর বাড়ির মো.রফিক মিয়ার ছেলে নয়ন মিয়া জনি।

 
রেলওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে পৃথক অভিযানে ওই দুই জনকে আটকের পর আজ বুধবার দুপুরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি স্বপন কান্তি বড়ুয়া এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠকে জানান, ঘটনার পর পরই হত্যাকারীদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তার করতে রেলওয়ে পুলিশ ব্যাপক অভিযান শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দুইজনকে আটক করে পুলিশ।

 

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে, তারা ওই সেনা সদস্যদের সাথে থাকা মালামাল ট্রেনের ছাদে ডাকাতি করে এবং ডাকাতি শেষে ওই সেনা সদস্যকে ট্রেনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করে। তবে আটককৃতরা আদালতে একই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কিনা ও গতকাল তাদের স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে জানাতে পারেননি তিনি।

 
উল্লেখ্য, গত শনিবার অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীদের নির্মম ছুরিকাঘাতে বগুড়া সেনানিবাসের ওয়ান সিগ্যনাল ব্যাটেলিয়ান সদস্য আবদুর রহমান (৩০) নিহত হন। ওইদিন সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের নাঙ্গলকোট ষ্টেশনের অদূরে গোত্রশাল নামক স্থানে ডাবল রেললাইনের মাঝখান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ।

 

নিহত ওই সেনা সদস্যের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনেরগাঁও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় মফিজুর রহমান বাদী হয়ে গত রোববার লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীদের নাম অজ্ঞাত বলে উল্লেখ করা হয়।