রাজশাহীতে ট্রেনের এসির আউটডোর মাদক বহনের নিরাপদ স্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যেই রেলপথে সক্রিয় রয়েছে চোরাকারবারি চক্র। যথাযথ ও পর্যাপ্ত নজরদারি থাকলেও এর মাঝেই অভিনব কায়দা বেছে নিয়েছে চোরাকারবারিরা।

কোচের ছাদ দিয়ে এসির আউটডোর টি খোলা থাকায় সেখানে অনায়াসে মাদক ও অস্ত্র রেখে নিরাপদে দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে ট্রেনের এসি কোচের ছাদে অস্ত্র ও মাদক বহনের নিরাপদ স্থান হিসাবে ব্যবহার করে আসছে তারা।

জানা গেছে, মাদক ও অস্ত্র সেটিং করা হয় ওয়াস পিটে।  তাই নতুন কৌশল ওয়াশ ফিটই এখন মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের নিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ট্রেনের ছাদে এসির বক্সে কোন তালা থকেনা। সে কারনে ঐ বক্স খুলে যে কেউ মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র রাখতে সক্ষম। এ ছাড়াও এখানে ইঞ্জিন ও পাওয়ারকার থেকেও নিয়মিত জ্বালানি তেল চুরি করা হয়। আর অর্থের বিনিময়ে তাদের এ কাজে সহযোগিতা করে আসছে ট্রেনের বগি পরিস্কার করা পরিছন্ন কর্মী, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য, রেল পুলিশ, বিদ্যুতের কর্মচারী,ও মেকানিক্যালের কিছু অসাধু কর্মচারীরা।

১৭ ই এপ্রিল বুধবার ঢাকা থেকে রাজশাহী গামী চলন্ত ধুমকেতু ট্রেনের এসি বগীর ছাদে এক ব্যাক্তিকে দেখে ট্রেনের এসি চোর সন্দেহে ট্রেনের রানিং কর্মচারীরা আটক করে। তবে ব্যাক্তিটি চোর নয় টিকিট না থাকায় ছাদে ভ্রমন করায় তাকে আবার ছেড়ে দেয়া হয়।

ঘটনার পর ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে থামার পর এসির ছাদের আউট ডোর চেক করার সময় বিদ্যুত বিভাগের এক কর্মচারী জানায়, এসির আউট ডোর গুলো শুধু লক থাকে তাতে কোন তালা থাকেনা ফলে যে কেউ অনায়াসে খুলে যে কোন অবৈধ মালামাল নিরাপদে নিয়ে যাওয়া সম্বব। কয়েক মাস আগে এসি বগীর ছাদে ফেন্সিডিল সাজানোর  সময় ওয়াশ পিটে কাজ করা বিদ্যুত বিভাগের এক করমচারী দেখে ফেললে তারা পালিয় যায়। সেখান থেকে রেল পুলিশ ৩০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলের একাধিক কর্মচারী বলেন, ট্রেন ওয়াশ পিটে ধোলায় করার সময় বগীর ছাদে এসির আউট ডোর মাদক ও অস্ত্র বহনের নিরাপদ জায়গায় পরিনত হয়েছে। আর এর সাথে কিছু ওয়াশ পিটে কর্মরত সবাই এর সাথে জড়িত থাকতে পারে।

স/অ