ট্রুডোর সহায়তা চায় তাহমিদের পরিবার, অটোয়া বলছে সীমাবদ্ধতা আছে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পুলিশ বলছে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু পরিবার বলছে খোঁজ নেই তাহমিদের। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর পুলিশ হেফাজতেই ছিলেন তাহমিদ খান।

কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা, টরন্টোর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী ঢাকায় এসে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার দিন সেই রেস্টুরেন্টের ভেতরেই ছিলেন। পরের দিন সকালে অন্য কয়েকজনের সাথে তারও মুক্তি মেলে। কিন্তু ঘটনা সম্পর্কে জানতে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। পরে পুলিশ জানায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, পরিবার বলছে তার খোঁজ মিলছে না। আর তারই সূত্র ধরে ঘটনার পর থেকেই কানাডার সরকারের সহযোগিতা চেয়ে আসছে। এবার ১২তম দিনে তাহমিদের পরিবার চিঠি পাঠিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ট্রুডোর কাছে। এ লক্ষ্যে একজন আইনজীবীও নিয়োগ করেছে তার পরিবার। ওই আইনজীবীর মাধ্যমেই গত সোমবার পাঠানো হয়েছে চিঠিটি।

treudo-tahmid20160713100747

এর আগে দেশটির গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী স্টেফানে ডিওনের কাছে চিঠি পাঠিয়েও সহায়তা চায় তাহমিদের পরিবার। চিঠি পাঠায় টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট মেরিট গার্টলারের কাছেও।

তবে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা আগেই বলেছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে কোনও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না।

তাহমিদ কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা হলেও সে ওই দেশের নাগরিক নয়, আর নাগরিক নয় এমন কোনও ব্যক্তির ব্যাপারে কানাডা সরকারের খুব একটা কিছু করণীয় নেই সে কথাই জানিয়ে দেয় গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা।

এর মুখপাত্র অস্টিন জিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নাগরিক নয় এমন কোনও ব্যক্তির জন্য একটি দেশ কতটুকু করতে পারবে সে ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

তবে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে তাহমিদের সহপাঠীরা ‘ফ্রি তাহমিদ’ ফেসবুক পেজ খুলে তাকে ফিরে পাওয়ার দাবি তুলে আসছে।

তাহমিদের বড়ভাই তালহা খান কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ভাইয়ের জন্য কানাডীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তা পেতে তিনিই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্র: বাংলানিউজ