ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব গ্রিনকার্ড প্রত্যাশীদের জীবন কঠিন হবে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি প্রস্তাবের ফলে দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা ইতোমধ্যেই সরকারি সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাদের জীবন কঠিন হয়ে পড়বে। নতুন প্রস্তাবনা অনুযায়ী যেসব অভিবাসীরা খাদ্য, বাসস্থান বা স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছেন তারা বোঝা হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং তাদের গ্রিন কার্ড পাওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, এর ফলে দেশটিতে বৈধভাবেও যেসব বিদেশি যাবেন বা রয়েছেন তাদের খাদ্য সহায়তা, গৃহায়ন কিংবা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রস্তাবিত রেগুলেশন্সে অভিবাসন কর্মকর্তাদের ভিসা কিংবা বসবাসের অনুমতি প্রত্যাখ্যানের ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। দেশটিতে বসবাসের অনুমতি পাওয়া ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যসেবার মতো কিছু বিষয়ে সেবা পাওয়ার আইনগত অধিকার রয়েছে। নতুন নীতিমালা হলে বিদেশিদের জন্য এসব সুবিধা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। প্রায় দুই দশক ধরে চলমান নীতির আওতায় সেখানে অনুমতি নিয়ে বসবাসরত বিদেশিরা এসব সুবিধা পেয়ে আসছিলো।
এখন থেকে যারা ভিসা চাইবেন বা স্থায়ী বসবাসের আইনগত অনুমতি চাইবেন তাদের জন্য নতুন নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। তবে যারা নাগরিকত্বের আবেদন করবেন তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। সেক্রেটারি অফ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কার্স্টজেন নিয়েলসেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে যারা অভিবাসনের আবেদন করবেন তাদের আর্থিকভাবে নিজেদের সাহায্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, অভিবাসীদের আত্মনির্ভরশীল হতে উদ্বুদ্ধ করা যাতে করে তারা আমেরিকান করদাতাদের জন্য বোঝা না হয়। প্রস্তাবিত আইন কংগ্রেসে উত্থাপন করা হবে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন নীতিমালা কংগ্রেসে উত্থাপনের প্রয়োজন হবে না। যদিও চূড়ান্ত হওয়ার আগে এর ওপর মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্টরা এসব বিষয়ে পাওয়া মতামতগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রায় তিন লাখ ৮২ হাজারের বেশি ব্যক্তি স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়ে থাকেন, আর নতুন এ নীতি তাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।