ট্রাইবেকারের রোমাঞ্চ জিতে ফাইনালে মিশর

আফ্রিকান নেশন্স কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে  ট্রাইবেকারে স্বাগতিক ক্যামেরুনকে ১-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালে মিশর। নির্ধারিত নব্বই মিনিট গোল শূন্য সমতা থাকার পর অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটেও দুর্ভেদ্য জালের দেখা পায়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত ট্রাইবেকারে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ। যেখানে শেষ হাসি হেসেছে মিশর।

এ নিয়ে দশমবারের মত নেশন্স কাপের ফাইনালে পা দিল মিশরীয়রা।

পুরো ম্যাচেই সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিশরের উপর দাপট দেখায় স্বাগতিক ক্যামেরুন। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা। সুযোগ এসেছিল মোহাম্মদ সালাহর মিশরের সামনেও। গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি লিভারপুলের এই তারকা। তবে ভাগ্য সহায় থাকায় শেষ পর্যন্ত ট্রাইবেকারে ফাইনাল নিশ্চিত হয় মিশরের।

প্রথম দশ মিনিটে কোনো দলই তেমন সুযোগ বানাতে পারেনি। সময় বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিশরের রক্ষণভাগকে ব্যস্ত রাখতে শুরু করে স্বাগতিকরা। ১৮ মিনিটে অল্পের জন্য গোলের দেখা পায়নি ক্যামেরুন। কর্নার থেকে আসা বল ডিফেন্ডার মাইকেল এনগাদু হেড করলে ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে শট নিলেও জালের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। ৩২ মিনিটে ফাকা পোস্ট পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি স্বাগতিক ফরোয়ার্ড তোকো একাম্বি। বাম দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো পাস গোল মুখে ঠিক মত বলে পা লাগাতে পারেনি এই ফরোয়ার্ড। বল চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে।

প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ৫৬মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন মোহাম্মদ সালাহ। মাঝ মাঠ থেকে ক্যামেরুনের মার্টিন হোগলান গোলরক্ষক ওনানার উদ্দেশ্যে ব্যাক পাস দিলে তা ভাগ্যক্রমে পেয়ে যান মোহাম্মদ সালাহ। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের দিকে এগোতে থাকেন তিনি কিন্তু সময়মত পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসে সালাহর আক্রমণ নষ্ট করে দেন ওনানা।

kalerkantho

ম্যাচের তখন ৯০ মিনিট, অতিরিক্ত সময়ের অপেক্ষায় ম্যাচ। ঠিক তখন মিশরে রামাদান সবি ও ক্যামেরুনের নুহো কথার লড়াইয়ে জড়ান। সে সময় টাচ লাইনের কাছে দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে রেফারির উদ্দেশ্যে কিছু একটা বলছিলেন কার্লোস কুইরেস। মাঝ মাঠ থেকে দৌড়ে এসে রেফারি দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখানোর পর লাল কার্ড দেখান মিশরীয় কোচকে। এর আগে প্রথমার্ধে রেফারি তাকে সতর্ক করে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে রেফারির উদ্দেশ্যে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সহকারী কোচ এসে তাকে আটকান। ডাগআউট ছেড়ে ড্রেসিং রুমে চলে যান মিশরীয় কোচ।

নির্ধারিত নব্বই মিনিট গোল শূন্য থাকায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের ৩০মিনিটেও কোনো দল গোল করতে না পারায় ম্যাচে ভাগ্য নির্ধারণ হয় ট্রাইবেকারে। যেখানে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে নেয় মিশর। ট্রাইবেকারে দুইটি শট ঠেকিয়ে হিরো বনে যান দ্বিতীয় পছন্দ হয়ে মিশরে দলে জায়গা পাওয়া গোলরক্ষক মোহামদ গাবাস্কি।

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে সাদিও মানের সেনেগালের মুখোমুখি হবে আফ্রিকান নেশন্স কাপের সফলতম দেশটি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ