টেন্ডার পেতে হুমকির অভিযোগ রাবি কর্মচারীর বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক,রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরের এক কর্মচারী টেন্ডার পেতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) পরিচালক মো. ইব্রাহিমকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (২৩.০৯.১৯) ইব্রাহিম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

অভিযোগ ওঠা আনোয়ার হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরে উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরের উচ্চমান সহকারী ও মেসার্স এ. এস. এম ট্রেডার্স এর মালিক। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার ডাঁশমারী গ্রামের মৃত মতলেব আলীর ছেলে সে।

অভিযোগে ইব্রাহিম উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট দপ্তরে কর্মরত মো. আনোয়ার হোসেন মেসার্স এ এস এম ট্রেডার্স এর নামে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সরবরাহকারী হিসেবে গবেষণাগারে গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে উলুখড় নিলামে দরপত্র প্রদান করেন। তবে নির্ধারিত ১১ শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি বাতিল বলে গণ্য হয়। কিন্তু এই উলুখড় তার প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রহণের জন্য আমাকে রাজনৈতিকভাবে ও নিজে বিভিন্নভাবে ফোনে হুমকি প্রদান করেন। ইব্রাহিম অভিযোগের একটি কপি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও নগরীর মতিহার থানায় জমা দেন।

জানতে চাইলে মো. ইব্রাহিম বলেন, গবেষণাগারের নিলাম সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম প্রকৌশল শাখা এবং নিলাম কমিটি নিয়মমত পরিচালনা করে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় একক কর্তৃত্ব বা অনিয়ম করার সুযোগ নেই। এরপরও ভয়ভীতি দেখিয়ে আনোয়ার টেন্ডার পেতে চায়। এরই প্রেক্ষিতে রাবি ভিসির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে আনোয়ার হোসেন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘আমি এক লাখ টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে কাজ না দিয়ে পঞ্চম সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দিয়েছে, যে কিনা মাত্র ৫০ হাজার টাকা দর দিয়েছেন। কাগজপত্র সত্যায়িত করা নেই জানিয়ে আমার দরপত্র বাতিল করা হয়েছে।’

জানতে চাইলে রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী জানান, ‘বিসিএসআইআর পরিচালককে হুমকি দেওয়ার ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ সরকারি চাকরিতে থেকে ঠিকাদারী করার বিষয়ে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমরা অবগত নই। তথ্য ফাঁকি দিয়ে সে এটা করতে পারে। এ বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।