টানা দ্বিতীয় সিরিজ হারল বাংলাদেশ

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

টি-টোয়েন্টিতে টানা দ্বিতীয় সিরিজ হারল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরাজয় বরণ করল টাইগাররা। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১০ রানে হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে সর্বশেষ উইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টিতে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল। একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। আর জিম্বাবুয়ে সফরে প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। তবে তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট-বলের ব্যর্থতায় এই ফরম্যাটে ফের লজ্জায় পড়ল দলটি। এছাড়া প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারল বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা জিম্বাবুয়ে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে লিটন দাসকে হারায়। ভিক্টর নিয়াউচির বলে ১৩ রান করে ফেরেন লিটন। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ২ রানে ফেরেন অভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন। তাকেও বিদায় করেন নিয়াউচি। এরপর আউট হন পুরো সিরিজে ব্যর্থ আনামুল হক। ১৩ বলে ১৪ রান করে ওয়েসলি মাধেভেরের বলে বোল্ড হন।

চতুর্থ উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ ধীর গতির ২৮ বলে ২৬ রান তোলেন। শান্ত ২০ বলে ১৬ রান করে শন উইলয়ামসের বলে আউট হন। আর মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে ঠিক ২৭ করে ব্র্যাড ইভান্সের বলে বিদায় নেন। মাঝে অধিনায়ক মোসাদ্দেক ইভান্সের বলেই শূন্য রানে মাঠ ছাড়েন ।

ষষ্ঠ উইকেটে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান ২৪ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু মেহেদী লম্বা শট খেলতে গিয়ে নিয়াউচির বলে সিকান্দার রাজার বলে আউট হন। তিনি ১৭ বলে ২২ রান করেন। আফিফ ২৭ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার।

জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান নিয়াউচি। ২টি উইকেট পান ইভান্স।

টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করেনি জিম্বাবুয়ে। নিজেদের ইনিংসে দলীয় ২৯ রানে প্রথম উইকেট হারায়। নাসুম আহমেদের বলে ওপেনার রেগিস চাকাভা (১৭) শর্টে থাকা আফিফ হোসের কাছে ক্যাচ তুলে দেন। এরপর স্পিনার মেহেদী হাসান নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে জোড়া আঘাত করেন। ওয়েসলি মাধেভেরেকে বোল্ড করার পর ফর্মে থাকা সিকান্দার রাজাকে শূন্য রানে ফেরান।

অভিজ্ঞ ব্যাটার শন উইলিয়ামসকে দাঁড়াতে দেননি মোসাদ্দেক হোসেন। বাংলাদেশ অধিনায়ক তাকে ব্যক্তিগত ২ রানে শান্তর ক্যাচে ফেরান। এরপর বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে আউট করেন মাহমুদউল্লাহ। ২৭ বলে ২৪ রান করা স্বাগতিক অধিনায়ক উইকেটরক্ষক আনামুল হকের স্টাম্পিংয়ের শিকার হন।

১৩তম ওভারের শেষ বলে মিল্টন শাম্বাকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। তবে ১৫তম ওভারে নাসুমের বলে ঝড় তোলেন রায়ান বার্ল। তিনি একাই ৩৪ রান তোলে। ৫টি ছক্কা ও একটি চার হাঁকান। ওভারের পঞ্চম বলটি চারের বদলে ছক্কা হলে যুবরাজ সিংয়ে এক ওভারে ছয় ছক্কার রেকর্ড গড়তে পারতেন।

সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩১ বলে ৭৯ রানের পার্টনারশি গড়ে দলীয় সংগ্রহ বাড়ান বার্ল ও লুক জংওয়ে। অবশেষে এই জুটির দুই ব্যাটারকেই ফেরান হাসান মাহমুদ। ২০ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৫ রান করা জংওয়েকে মোসাদ্দেকের কাছে ক্যাচ দেন। পরে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে লিটন দাসের ক্যাচে আউট হন বার্ল। ২৮ বলে ২টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

বাংলাদেশ বোলার মেহেদী হাসান ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট পান। এছাড়া মোস্তাফিজ, মোসাদ্দেক, নাসুম ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট দখল করেন।

সূত্র: আমাদের সময়