নিজস্ব প্রতিবেদক:
টাঙ্গাইল সদরের কাগমারা এলাকায় গতকাল শনিবার জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযানে নিহত দুই জঙ্গির পরিচয নিশ্চিত হতে পারেনি রাজশাহীর চারঘাট থানা পুলিশ। তাদের ঠিকানাও খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।
র্যাবের দাবি অনুযায়ী, নিহতরা দু’জন হলো আতিকুর রহমান আতিক ও সাগর হোসাইন। আতিকের বাবার নাম লতিফুর রহমান, বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নিমপাড়ায়। সাগরের বাবার নাম জোনোয়েদ হোসাইন, বাড়ি চারঘাটের ইউসুফপুরে।
তবে চারঘাট থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘এই ধরনের নাম ও বাবার নামের সঙ্গে মিলিয়ে ওই দুই গ্রামে কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।’
‘আমরা শনিবার রাত নয়টার দিক থেকেই নিহত ওই দুই জঙ্গির পরিবারের খোঁজ করতে থাকি। কিন্তু তাদের ঠিকানার কোনো মিল না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের পরিচয়ও নিশ্চিত হতে পারিনি’-যোগ করে ওসি।
এর আগে টাঙ্গাইল সদরের কাগমারা এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় র্যাবের অভিযানে নিহত হয়েছে দুই জঙ্গি। জঙ্গিদের হামলায় র্যাবের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন। অভিযান শুরু হয় সকাল সাড়ে ১০টায়, চলে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
র্যাব-১২-এর অধিনায়ক শাহাবুদ্দিন জানান, বিশ্বস্ত সূত্রে তারা জানতে পারেন, কাগমারা আবাসিক এলাকায় মির্জা মাঠের কাছে একটি বাড়িতে জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে র্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। র্যাব সদস্যরা প্রথমে বাসার নিচতলার একটি কক্ষে থাকা জঙ্গিদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় জঙ্গিরা র্যাব-১২ সিপিসি-৩-এর কম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকীকে জাপটে ধরে। তিনি নিজেকে ছাড়িয়ে নিলে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ১০ মিনিট গোলাগুলি চলে।
এ সময় র্যাব সদস্যরা বাড়িটি ঘিরে রাখেন। ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ থেকে র্যাবের আরেকটি দলসহ বোমা বিশেষজ্ঞদল অভিযানে এসে যোগ দেয়। একপর্যায়ে ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে র্যাব সদস্যরা দুপুর সোয়া ২টার দিকে কক্ষটির ভেতরে ঢোকেন। সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ দুই জঙ্গির লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিক আজহারুল ইসলাম জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুই যুবক ছাত্র পরিচয়ে বাড়ি ভাড়া নিতে আসে। পরিচয়পত্রসহ বিস্তারিত তথ্য চাইলে তারা সাত দিনের সময় নেয়। আজকেই (শনিবার) তারা পরিচয়পত্র দিতে চেয়েছিল।
স/আর