টাকা দিয়েও মনোনয়ন না পাওয়ায় বিএনপি অফিসে হামলা: কাদের

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বিএনপি নেতারা মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন- মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, টাকা দিয়ে যারা মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছে, তারাই বিএনপি অফিসে হামলা চালাচ্ছে।

শনিবার সকাল ১১টায় নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ওটারহাটে এক পথসভায় এ মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ঘর গোছাতে পারেনি। জগাখিচুড়ি ঐক্যের পরিণতি তারা পদে পদে অনুভব করছেন। যার কারণে তাদের সেক্রেটারি জেনারেলের অফিসে গিয়ে মনোনয়নবঞ্চিতরা হামলা চালাচ্ছে। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, যারা মনোনয়ন পায়নি, তারাই হামলা চালাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভাঙা হাট আর মিলবে না। যতই দিন যাচ্ছে ততই বিএনপির জনপ্রিয়তা ভাটা পড়ছে। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য করছে নেতারা। তাদের অনেক নেতাকর্মীও এ নিয়ে বিক্ষোভ করছে।

নির্বাচন পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ঠিকই আছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গত কয়েক দিন ধরে নেতাকর্মী নিয়ে এ এলাকায় গণসংযোগ করে নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। এ আসনে মওদুদ সাহেবের কোনো জনপ্রিয়তা নেই। তিনি জনগণের কাছে কীভাবে ভোট চাইবেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, গত ২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তিনি ২২টি কাজও দেখাতে পারবেন না। তারা নিজেরাই তাদের গণসংযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। বিএনপি নিজেরা যে কোনো ঘটনা ঘটিয়ে এর দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে। তাই নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, এ সরকার নোয়াখালী-৫ আসনের দুটি উপজেলায় ৯৩ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেছে। বাটইয়া ইউনিয়নও শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার করার জন্য শেখ হাসিনা সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। নোয়াখালীর দুঃখ, নোয়াখালী খাল খনন করে এ এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। মুছাপুর ক্লোজারের কাজ মওদুদ আহমদ ২২ বছরেও করতে পারেননি। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুছাপুর ক্লোজারের কাজ শেষ করে এ এলাকার জনগণকে নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. এবিএম জাফর উল্যাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. একেএম জাফর উল্যাহ, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমি, কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, বাটইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোশারেফ হোসেন আলা উদ্দিন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি জসীম উদ্দিন শাহীন প্রমুখ।

এ ছাড়া ওবায়দুল কাদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপ্রারাশিরহাট, পেশকারহাট, বামনী বাজার ও মুছাপুর, চরহাজারী ও চরপার্বতী ইউনিয়নে গণসংযোগ করেন।