ঝুঁকি নিয়েই স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন মাদারীপুরের চিকিৎসাকর্মীরা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য নেই প্রয়োজনীয় উপকরণ। করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা। জেলার সিভিল সার্জনের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পারসোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট পিপিই, গ্লাভস ও জীবাণুনাশকের চাহিদা বাড়ানো হয়েছে।

মাদারীপুর জেলায় সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের বসবাস। এসব মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিতে প্রতিনিয়ত আসেন জেলা সদর হাসপাতালে। বর্তমানে চারদিকে বিরাজ করছে করোনা ভাইরাস আতঙ্ক। এই পরিস্থিতির মধ্যেও হাসপাতালের নার্স, চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়াই দিচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা। এতে একদিকে যেমন বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, তেমনি সাধারণ মানুষের মাঝেও ছড়াচ্ছে আতঙ্ক।

নার্সরা বলেন, আমরা প্রত্যেকটা রোগীকে সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমাদেরও ভয় আছে। আমাদেরও পরিবার আছে। সন্তান আছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালে প্রতিদিনই জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। এ অবস্থায় রোগী ও তাদের সংস্পর্শসহ প্রবাসীদের আগমনে বিরাজ করছে ভয় আর উৎকন্ঠা। বর্তমান পরিস্থিতিতে পিপিই ছাড়া কাজ করা অনেকটাই ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন তারা।

ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অখিল সরকার বলেন, আমাদের যা পারসোনাল ইকিউপম্যান্ট আছে তা পর্যাপ্ত না। তবুও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

চিকিৎসা সেবায় স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ্য করে সিভিল সার্জন জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে আড়াইশ’ শয্যা হাসপাতালের নতুব ভবনটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রয়োজনীয় উপকরণ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম বলেন, পিপিই এখন সারা বিশ্বে সংকট। কিন্তু আমরা পাচ্ছি। আরও চাইলে আরও দিবে এমন আশ্বাস পাওয়া গেছে।

মাদারীপুরের এক লাখ ৬৫ হাজার প্রবাসীর মধ্যে গত ২২দিনে ৩ হাজার ২শ’ দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস সন্দেহে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ছয়জন। এছাড়া তিন শতাধিক ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। সতর্কতা সংকেত হিসেবে প্রতিটি এলাকায় গঠন করা হয়েছে মনিটরিং সেল।