জয়পুরহাটে হত্যা মামলার দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪৫ জন কারাগারে

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও ১০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় মামলার পর ৪৫ জন আসামী নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে গেলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল-হাজতে প্রেরণের নির্দ্দেশ দিয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে জয়পুরহাট ‘ক’ অঞ্চল আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল বাহার এ নির্দ্দেশ প্রদান করেন।

এ নিয়ে হত্যার মামলার দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মোট ৫০ জন আসামী বর্তমানে কারাগার ভোগ করছেন।

আদালত ও মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলাা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিজয়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলনের সাথে স্থানীয় উদয়পুর ইউ’পির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজেদ আলী এবং মাত্রাই ইউ’পি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আ.ন.ম শওকত হাবীব তালুকদার লজিক গ্রুপের দ্বন্দ্বে গত ১৬ মার্চ শনিবার রাতে মোসলেমগঞ্জ বাজারে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে উপজেলা চেয়ারম্যানের গ্রুপের সমর্থক আত্তাব উদ্দীন ও রতন মহন্ত নামে দু’জন নিহত হন এবং আরও ১০ জন আহত হয়। ওই ঘটনায় নিহত আত্তাব উদ্দিনের ছেলে গোলাম রব্বানী বাদী হয়ে পরের দিন রোববার রাতে দুই ইউ’পি চেয়ারম্যানসহ ৪৭ জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত আরও দেড় শতাধিক আসামী করে কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর কালাই থানার পুলিশ তদন্তে প্রাপ্ত ৩ জন এবং এজাহার নামীয় ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরন করেন।

এরপর এজারভূক্ত বাঁকী ৪৫ জন আসামী দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে গত ১ এপ্রিল উচ্চ আদালত মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৭ দিনের অস্থায়ী জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরেন। জামিনের মেয়াদ শেষে গতকাল রোববার দুপুরে দুই ইউ’পি চেয়ারম্যানসহ আসামীরা জয়পুরহাট ‘ক’ অঞ্চল আমলি আদালতে হাজির হয়ে তাদের আইনজীবির মাধ্যমে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট ইকবাল বাহার হত্যা মামলার আসামীদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল-হাজতে প্রেরনের নির্দ্দেশ দেন।

এ নিয়ে হত্যা মামলার এজারভূক্ত ৪৭ জনসহ মোট ৫০ জন আসামী কারাগার ভোগ করছেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স/অ