শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাটঃ
রাতের নির্জনতায় বিশালখোলা আকাশের নিচে,শান্ত প্রকৃতিতে বসে রাগ ভৈরবী, মালকোস, বিলাবোল কিংবা কলাবতীর মনমুগ্ধকর সুরের মুর্ছনায় কার না হৃদয় ছুঁয়ে যায় ? অস্পষ্ট আধো আলো,আধো অন্ধকারে পরম একাকিত্বে ‘নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে’ কার না মন ব্যাকুল হয়ে উঠে ? শাস্ত্রীয় সংগীতের অসাধারন রাগের লহরী অজান্তেই শ্রোতাদের নিয়ে যায় এক অন্য রকম ভিন্ন জগতে।
রাতে জয়পুরহাটে ডিসি’র লেকের পাড়ে সংগীত প্রেমী শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলেছিল এমনই শাস্ত্রীয় সংগীতের এক চমৎকার পরিবেশনা ‘রাগ লহরী’।
‘শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চ্চাকে উজ্জীবিত করা’র লক্ষ্য কে সামনে রেখে জয়পুরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শাস্ত্রীয় সংগীত বিভাগ এর আয়োজনে ব্যতিক্রমী এ রাগ সংগীতানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আব্দুর রহিম।
প্রতিটি রাগের সাথে সময় এবং স্থানের একটা গুরুত্বপূর্ন সর্ম্পক আছে। রাত্রির শান্ত-নির্জন লেকের পাড়ে এ রাগ সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রাগের সাথে প্রকৃতি ও সময়ের সেই সর্ম্পটির সম্মিলন ঘটানোর চেষ্টা করেন আয়োজকরা। তাইতো মনোরম লেকের মাঝখানের শুকনো ভূমিতে (দ্বীপের মত) প্রদীপ আর খড়িতে (লাকড়ি) আগুন জ্বারিয়ে তাঁবু জলসার মত অনুজ্জ্বল অথচ আকর্ষনীয় মঞ্চতে বসে শিল্পী ও বাদ্যযন্ত্রীদের রাগ সংগীত পরিবেশনাকে দূরে লেকের ওপাড়ে বসে শ্রোতাদের গভীর আগ্রহে উপভোগ করা ছিল সত্যিই শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতি গভীর ভালবাসারই নামান্তর, এক অনন্য নজির। যা নি:সন্দেহে শুদ্ধ সাংস্কৃতিক চর্চ্চাকে উৎসাহীত করবে বলে মত প্রকাশ করেছেন সংগীত বোদ্ধা গুনীজন।
জয়পুরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আসাদুজ্জামান সরকারের সার্বিক তত্বাবধানে চমৎকার এ অনুষ্ঠানে বিলাবোল,ঈমন, ভৈরব, মালকোস,আহির ভাইরো,কলাবতী ও তিলোপকামোদ রাগ পরিবেশন করেন শাস্ত্রীয় সংগীত বিভাগের প্রশিক্ষনার্থী ইশতিয়া শাহানামা, নিশাত, নম্রতা, লুনা, সৌমিক ও কৌশিক।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওস্তাদ রুহুল কুদ্দুস ও কৌশিক আহমেদ
স/অ