জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় সাত জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটে চাঞ্চল্যকর আঃ মতিন হত্যা মামলায় ৭ আসামীর মৃত্যুদণ্ড এবং অপর এক আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকেল ৩টায় জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আঃ রহিম এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার ধারকি বড়াইল প্রামানিক পাড়ার মৃত আঃ কাদের প্রামানিকের ছেলে ওয়াজেদ আলী তোরাফ (৫৫), মোবারক আলী মোল্লার তিন ছেলে চৈতুন মোল্লা (৫৩), ছাফাদুল (৪৮) ও মছির উদ্দীন(৫৮), ওয়াজেদ আলী তোরাফের  ছেলে আনু (৩০)ও আবু হাসান দিলিপ (৩৫) ও মৃত মোক্তার আলীর ছেলে মন্টু। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন মাহবুব আলম বাবু(৩৫)। এদের মধ্যে মন্টু (৪০) পলাতক রয়েছে।

 

রায় ঘোষণার সময় সাতজন আসামীই কাঠগরায় উপস্থিত ছিল। অভিযোগপত্রে ৯ আসামীর মধ্যে মনতাজ উদ্দীন আগেই মারা যাওয়ায় আদালত বাকী ৮ জনের বিরুদ্ধে এই রায় দেন।

 
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মতিন তার মেয়ের আকিকার দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে বের হন। পথিমধ্যে বড়াইল প্রামানিক পাড়ার ওয়াজেদ আলীর বাড়ির সামনে আসলে ওয়াজেদ আলী ও তার সহযোগিরা  ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি-সোটা দিয়ে মতিনকে বেধড়ক পিটিয়ে তাকে হত্যা করে।

 
ওই ঘটনায় রাতেই নিহতের ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় ৯ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৭ সালের ৩০ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক গোলাম রব্বানী আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে ১৪৮/৩৪১/৩২৪/৩০২ ও দন্ডবিধির ৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র  দায়ের করেন। ১৬ জন স্বাক্ষী ও ১০ জন নিরীক্ষকের স্বাক্ষীতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায়  আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

 
আদালতে আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. আবু ইউসুফ মোঃ খলিলুর রহমান এবং সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।

 
এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল  জানান, এই রায়ে বাদী ও সরকার পক্ষের আইনজীবীরা বেশ সন্তুুষ্ট ।

 

তবে আসামী পক্ষের আইনজীবী বলেন,  তারা উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচারের জন্য আপিল করবেন।

 

মামলার বাদী ও নিহতের বড় ভাই শাহ আলম জানান, দীর্ঘদিন পরে হলেও আদালতের সঠিক রায়ে তার পরিবার খুব খুঁশি।

স/মি