জয়পুরহাটে গণধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীকে হত্যার চেষ্টা

জয়পুরহাটের কালাইয়ে ঘরে ঢুকে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার বানদিঘি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় পর শনিবার মেয়েটির চাচা বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি মামলা করেছেন।

 

এ ঘটনার প্রতিবাদে ও ধষর্কদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার সকালে মাত্রাই-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেছে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে জয়পুরহাটের এএসপি (সার্কেল) অশোক কুমার পাল ও কালাই থানার ওসি নুরুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে ধষর্কদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করে স্থানীয়রা।

 

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে ওই ছাত্রীর বাড়ির দেয়াল টপকে প্রথমে তার বাবা-মার ঘরের দরজায় শেকল তুলে বন্দী করে দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে মেয়েটির ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় তারা।

 

অভিযোগে আরও জানা য়ায় , ভোর রাতের দিকে মেয়েটির মা শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বুঝতে পারেন দরজা বাইরের দিক থেকে লাগানো। তখন শোর-চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে দরজা খুলে দেয় এবং পাশের ঘর থেকে থেকে মেয়েটিকে বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি নিয়ে যায় তারা। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

 

ওসি নুরুজ্জামান বলেন, ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক না কেন তাদের গ্রেফতার করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স/অ