জয়পুরহাটে অবশেষে নদীর পাড়ে ব্লক বসানোর কাজ শুরু,স্বস্তিতে বাসিন্দারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর শহরকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় ২কোটি ১৯ লাখ টাকার প্রকল্প নিয়েছে সরকার। বাঁধের ব্লক বসানোর কাজ শুরু থেকেই ধীরগতিসহ নিন্মমানের পাথর,বালু ও নদীর পানির মধ্যে দায়সারা কাজ করার অভিযোগ উঠেছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। সেই সাথে ব্লক সাজানোর জন্য বাঁধের পাড়ের মাটি কেটে রাখায় ঝুকি নিয়ে বসবাস করছিল বাসিন্দারা। যে টুকু কাজ করেছিল তাও আবার দেবে গিয়েছিল।

এক পর্যায়ে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এতে ঝুকি নিয়ে বসবাস করছিল নদী পাড়ের বাসিন্দারা। এনিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় একাধিকবার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। অবশেষে চলতি বছরে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নানা অভিযোগ মাথায় দিয়ে নদীর পাড়ে ফের ব্লক বসানোর কাজ শুরু করেছেন। এতে স্বস্তিতে নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

পাউবো সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুর পৌর এলাকার তুলশীগঙ্গা নদীর শাহ্ মুখদম মাজার হতে কলেজ বাজার ব্রীজ পর্যন্ত ৩ শত ৫০ মিটার শহর রক্ষা বাঁধে ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্লক তৈরীর একটি প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজটি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের শুরু হয়ে ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে ধীরগতি কাজের কারোনে নির্দৃষ্ট সময়ের মধ্যে ব্লক বসাতে পারেনি। এরিই মধ্যে নদীতে চলে আসে বৃষ্টির পানি। আর পানির মধ্যেই কিছু অংশ ব্লক ফেলে কাজ করা হয়। একপর্যায়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ বন্ধ করে দেয়। চলতি বছরে অবাররো কাজ শুরু হয়েছে।


নদীর ধারে বসবাসকারী বাসিন্দারা জানান, আমাদের বাড়ি নদীর পারে। শুরু থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির কাজ ছিল ধীরগতি। ব্লক ফেলার কাজের জন্য কাটা হয়েছিল বসতবাড়ির জায়গা। তখন আমাদের বাড়িঘর ছিল ঝুকিপূর্ণ। একপর্যায়ে গত বছর তারা কাজ বন্ধ করে দিয়ে চালে যায়।এতে আমরা ঝুকি নিয়ে বসবাস করছিলাম। এবার চলতি বছরে আবারও কাজ শুরু করেছেন ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।

বগুড়ার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিতু ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎকরে নদীতে বেশী বৃষ্টির পানি এসে যাওয়ায় কাজ করা আর সম্ভব হয় নি। এখন আমরা নদীতে ব্লক ফেলছি। আশা করছি বর্ষার আগেই কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।

আক্কেলপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম পল্টু বলেন, গত বছর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ সম্পূর্ণ না করার কারনে নদী পাড়ের বাসিন্দারা ঝুকি নিয়ে বসবাস করছিল। এবছর আবারও নতুন করে কাজ শুরু করেছে ওই প্রতিষ্ঠানটি। তবে এখানে স্থানীয় কিছু লোকজন তাদের জায়গা দিতে বাঁধা দিয়েছিল আমি তাদেরকে বুঝিয়ে পড়ে ঠিক করেছি। ব্লক বসানো হলে নদী পাড়ের লোকজনের আর কোন ঝুকি থাকবে না।

জয়পুরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মুমিন সিল্কসিটি নিউজকে বলেন,কাজ শুরু থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের একটু ধীরগতি ছিল যার কারনে গত বছরে যে সময় সীমা ছিল তার মধ্যে তারা কাজ শেষ করতে পারেনি। পরে আবার কাজের সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে। এখনে ব্লক বসানোর যে ডিজাইন ছিল সে অনুযায়ী স্থানীয়রা কাজ করতে দিচ্ছেনা। অনেকে বাধা দিচ্ছে তার পরেও চেষ্টা চলছে কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য।
স/শ