জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে শীতকালীন উৎসব ও প্রীতিভোজ

এস এম শফিকুল ইসলাম,জয়পুরহাট:
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক ব্যতিক্রমী শীতকালীন উৎসব উৎযাপন ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একসাথে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার মানুষ এই প্রীতিভোজে অংশ নিয়েছে। আক্কেলপুর উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক জিয়াউল হক জিয়া ব্যক্তিগত ভাবে রোয়াইর গ্রামে এই আয়োজন করেন।
তিনদিন আগে থেকেই রোয়াইর গ্রামে শুরু হয় এই উৎসব। উৎসবকে ঘিরে কারো মনেই কোন আনন্দের ঘাটতি ছিলনা তবে সাধারন মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল কি হতে যাচ্ছে ওই গ্রামে। সব জল্পনার অবসান ঘটে মঙ্গলবার দুপুরে। রোয়াইরের ধান কাটা মাঠে প্রায় ২০ একর জমিতে প্যান্ডেল সাজিয়ে চলে প্রীতিভোজ। নিজ গ্রামতো বটেই দুরদুরান্ত থেকেও লোকজন এসেছিলেন দাওয়াতে।
কি নেই খাবারে, মাছ, মাংস, ডাল, সবজি, দই-মিষ্টি সাথে পান খাবারের ব্যবসস্থাও। একসাথে এত মানুষকে খাওয়ানোটা যদিও দুস্কর ছিল তথাপি ২ হাজার সেচ্ছাসেবী রাতদিন পরিশ্রম করে এই আয়োজন সফল করেন। ২৭টি গরু, ২২টি খাশী, শতাধিক মন মাছ আর চালের ভাত ছিল মুল খাবার।
আক্কেলপুরের আকন্দ পাড়ার আহম্মেদ ছব্বির আকন্দ বলেন, এতবড় অনুষ্ঠান তার জীবনে কখনো দেখেননি।


আক্কেলপুরের ব্যবসায়ী আহম্মেদ সাব্বির আকন্দ পাপ্পু বলেন, এই আয়োজন আক্কেলপুর বাসীর জন্য গর্বের বিষয়। এতবড় আয়োজন জয়পুরহাটে এই প্রথম।
নওগাাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার মিঠাপুর গ্রামের সামছুল ইসলাম বলেন লোকমুখে খবর শুনে এসেছেন। এই অনুষ্ঠানে না আসলে জানা যেতনা যে এটা কত বড় অনুষ্ঠান।
বিশাল আয়োজনকে ঘিরে বিশঙ্খলা এড়াতে তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান বড় আয়োজন ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ সতর্ক ছিল।
আয়োজক কমিটির সদস্য জয়পুরহাট জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুর রহিম স্বাধীন জানান, এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন জেলার সব রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও কয়েক গ্রামের সাধারন মানুষকে দাওয়াত করা হয়েছিল। দাওয়াতের চেয়েও লোকসংখ্যা বেশি ছিল বরে জানান তিনি।
মুল আয়োজক সাবেক আক্কেলপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আলাউদ্দীন সরদারের ছেলে জিয়াউল হক জিয়া সিল্কসিটি নিউজকে জানান- এটি মুলত তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। তার বাবাও বড় বড় আয়োজন করতেন। তবে শীতকালীন উৎসবকে স্মরন করা সেইসাথে এলাকার মানুষের সাথে গেট টুগেদার করার জন্যই এই আয়োজন। ভবিষ্যতে কোন নির্বাচন করার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন রাজনীতি বা নির্বাচন করার সাথে এই অনুষ্ঠানের কোন সম্পর্ক নেই।
অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি ছিল বাঙ্গালীর শীতকালীন এতিহ্য পিঠা উৎসব। নানা রকমের পিঠার সরবরাহ ছিল এই আয়োজনে।
স/শ