জুলাইয়ে রক্ত চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে আতঙ্ক!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

আসছে জুলাই মাসে আরও একটি মহাজাগতিক ঘটনার স্বাক্ষী হতে যাচ্ছে পৃথিবীর মানুষ। সূর্য আর চাঁদের মাঝে আসবে পৃথিবী! যার ফলে সৌরজগতের একমাত্র বাসযোগ্য গ্রহটির ছায়া পড়বে চাঁদের বুকে। তবে তা রক্তিম বর্ণে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী জুলাই মাসের ২১ তারিখে চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।

বিজ্ঞানীরা এটাও জানিয়েছেন, চলতি বছরে সেটা হবে দ্বিতীয় রক্তিম চন্দ্রগ্রহণের ঘটনা। এর আগে জানুয়ারির ৩১ তারিখে Blood Moon দেখা গিয়েছিল। সেবার অবশ্য চাঁদও পৃথিবীর খুব কাছে চলে এসেছিল। তাছাড়া লাল বর্ণের পাশাপাশি চাঁদকে নীল আলোতেও আলোকিত হতে দেখেছিল পৃথিবীর মানুষ।

ফলে বছরের প্রথম মাসটিতে একই রাতে চাঁদের ৩টি বিরল রূপের দেখা পেয়েছিল পৃথিবীবাসি। Super, Red এবং Blood Moon এক সঙ্গে দেখার বিরল অভিজ্ঞতা হয়েছিল সবার।

সেবার অবশ্য সেই বিরল মুহূর্তকে ঘিরে নানা কুসংস্কারও ছড়িয়েছিল। নানা ভৌতিক কাণ্ড কারখানা নিয়েও কানাঘুষা চলে। তবে স্বাভাবিক ভাবেই ঘটে যায় চন্দ্র গ্রহণের ঘটনাটি।

এবারের চন্দ্র গ্রহণ নিয়েও চলছে নানা ভবিষ্যত বাণী। যারা পৃথিবীর কিংবা সভ্যতা ধ্বংসের ব্যাপারে বিশ্বাস রাখেন তাদের মনে হয়েছে এটাই সম্ভবত সেই ক্ষণ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ইউকে এক প্রতিবেদনে জানায়, পৃথিবী ধ্বংসের ব্যাপারে বিশ্বাসীরা দাবি করছেন এবছরই তা সংঘটিত হবে। যার আলামত ছিল জানুয়ারির ৩১ তারিখের ঘটনায়। আর জুলাইয়ের ২৭ তারিখে ঘটবে মহাপ্রলয়।

দাবির স্বপক্ষে তারা খ্রিস্টানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের উদাহরণ টেনে এনেছেন। তারা বলছেন, ধ্বংসের বছরে চাঁদ একাধিকবার রক্ত বর্ণ ধারণ করবে বলে বাইবেলে কথিত আছে।

নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য আলোচিত খ্রিস্টান ধর্ম যাজক পল বিগলে বলছেন, সভ্যতার শেষ সময় যে উপস্থিত তা নানা আলমতেই স্পষ্ট।

সংবাদমাধ্যমে তার দাবি, ‘আমরা শেষ সময়ে বসবাস করছি। বছরের শুরুতেই দেখা গেছে সুপার ব্লু ব্লাড মুন (super blue blood moon), আর সেটাই হচ্ছে পৃথিবীর শেষ সময়ের সবচেয়ে বড় আলাতম।’

অবশ্য বিজ্ঞানীরা এই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনাকে স্বাবাবিক বলেই গোড়া থেকে দাবি করে আসছেন। বরং আজে বাজে কথা বলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক না ছড়ানোর জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।