জুতা মারার হুমকি দেয়ায় থানায় অভিযোগ দিলেন মাহিয়া মাহি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জুতা মারার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় মধ্যরাতে থানায় গিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজশাহীর তানোর থানায় মাহিয়া মাহি নিজে উপস্থিত হয়ে ফেসবুকে ভিডিও পোস্টকারী মাহাবুর রহমান মাহামের নামে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, হুমকির অভিযোগ অধর্তব্য অপরাধ। এ কারণে বিজ্ঞ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে অভিযোগটি তদন্ত করে তার পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মাহাবুর রহমান মাহাম নামের ওই যুবকের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের কালনা পূর্বপাড়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত ছদের আলী। এ ছাড়া তিনি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের গাড়ি ভাঙচুর মামলার আসামি।

এ ছাড়া মাহাম এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। তিনি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বেড়ান। তবে যোগাযোগ করা হলে মাহাম জানান, তিনি নৌকার একজন সমর্থক। বর্তমানে দলীয় কোনো পদ তার নেই।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা এক ভিডিওতে মাহাম ভিডিওতে এসে মাহিকে জুতা মারার হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই এ আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ও এবার নির্বাচনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীকে কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য রাখছেন মাহমা। ফারুক চৌধুরীর বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড সামনে এনে মাহি এবার তাকে ভোট না দেওয়ার জন্য ভোটারদের আহ্বান জানাচ্ছেন। আর এ কারণেই ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে মাহিকে জুতা মারার হুমকি দেন মাহাম। যদিও কিছুক্ষণ পর তিনি সেই ভিডিও ফেসবুক আইডি থেকে ডিলিট করে দেন।

ভিডিওতে মাহিয়া মাহি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মাহাম বলেন, ভিডিও ছাড়ার পর রাজশাহী থেকে কয়েকজন সাংবাদিক ফোন করেছিলেন। তারা নানা কথা বলছেন। সে কারণে তিনি ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছেন।

এ আসনের নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ভিডিওটি তিনি দেখেছেন। অভিযুক্ত পক্ষের সঙ্গে তার কথা বলার প্রয়োজন নেই, বলেননি। তবে মাহির সাথে কথা হয়েছে। তাকে একটা অভিযোগ দিতে বলেছেন। অভিযোগ দিলে মাহামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।