জিয়া-মোশতাক যে আইন করেছিল, সেটা পশুরাও করে না : আইনমন্ত্রী

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘খুনি মোশতাক ও তার সহচর জিয়াউর রহমান এবং অন্যান্যরা এতটাই ভীত ছিল যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যেন না হয় সে জন্য আইন করেছিল। আমার তো মনে হয় জঙ্গলের পশুরাও এ রকম আইন করে না। এ আইনের মাধ্যমেই প্রমাণ পায় খন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান এবং অন্যান্যরা বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারী ছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আইন বাতিল করে। এতে বিচারের পথ সুগম হয়।’

রবিবার (১৫ আগস্ট) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের ভার্চুয়ালি আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তারের সভাপতিত্বে উপজেলা মিলনায়তনে এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের কথা কি বলব। তিনি শুধু যে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত তা নয়, তিনি পরিষ্কার বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ও যে বিশ্বাস করতেন না তা প্রমাণ করেছে। তিনি আইনের শাসনেও যে বিশ্বাস করতেন না তার প্রমাণ করে দিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুর যারা হত্যাকারী তাদের সারাবিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে কূটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে গেছেন। আমাদের জীবনে কালো অধ্যায় সৃষ্টিকারীদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসা ও পরে আরো সাত বছর ক্ষমতায় না থাকার সময় যেটা হয়েছে সেটা হলো বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ওই সময়টাতে তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। নেপথ্যে যারা ছিল তাদের সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট হয়েছে। তারপরও আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করে। একজন খুনি স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। আরেকজনের রায় কার্যকর করা হয়। খুনী রশিদ, ডালিদ, নূর, রাশেদ, মোসলেম উদ্দিন পলাতক। তাদের ধরে আনা যায়নি।’

‘পরিষ্কারভাবে বলতে চাই শেখ হাসিনার সরকারের অঙ্গীকার, আমি কথা দিচ্ছি যতক্ষণ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত বাকি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে ধরে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও কয়েকজন নেতার অর্থায়নে তাঁর সংসদীয় এলাকা কসবা ও আখাউড়ায় ৩৪০০ জনকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে কসবায় ২২০০ জনকে ও আখাউড়ায় ১২০০ জনকে এ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। শোক দিবসে গণভোজের আয়োজন না করে সেলুন কর্মী, চায়ের দোকানিসহ কর্মহীন শ্রমিকদের খাদ্য সহায়তার আহ্বান জানান মন্ত্রী। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে দুই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ উদ্যোগ নেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ