জিজ্ঞাসাবাদে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন রুবেল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রুবেল প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন। তবে ঘটনার বিবরণে তিনি ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

পুলিশ সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক রুবেল ঘটনা সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। তবে রুবেল ও তার সহযোগীদের বিষয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

 

শনিবার (১৯ নভেম্বর) ধর্ষক রুবলের ছয় দিনের রিমান্ডের চতুর্থ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এমন তথ্য বেরিয়ে আসে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

 

পলাতক আসামি ধর্ষক রুবেলকে ১৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর আদালতে উপস্থাপন করলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর (বুধবার) থেকে শুরু হওয়া এই রিমান্ড চলবে আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।

 

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বি এম মামুন বলেন, এই ঘটনার তদন্ত চলছে। ধর্ষক রুবেল প্রাথমিকভাবে অপরাধ স্বীকার করেছে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রুবেলের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

 

এই ঘটনায় অভিযুক্ত জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

 

পুলিশ জানায়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য রুবেলকে ১৩ নভেম্বর (রোববার) আদালতে নেওয়া হয়। বিচারকের খাস কামরা থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়ে যান রুবেল। পুলিশ টানা দুইদিন অভিযান চালিয়ে ধর্ষক রুবেলকে বাড্ডা এলাকা থেকে আবার গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

 

রুবেল হাতকড়া পড়া অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে থাকার পর তাকে বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের পেছনে খালের পাশ থেকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়। বাড্ডা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) বি এম মামুন আসামি রুবেলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান।

 

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষক রুবেলের নামে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তিনি বাড্ডা এলাকায় ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াতেন। এ বিষয়ে তার নামে অনেক অভিযোগ থাকলেও সাক্ষীর অভাবে রুবেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

 

রুবেলের নামে বাড্ডা থানায় গত ২০১২ সালের আগস্টে মারামারি সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়, মামলা নম্বর ২৫। এরপর, ২০১৫ সালের মে মাসে মারামারি সংক্রান্ত আর একটি মামলা দায়ে করা হয়, মামলা নম্বর ২৫। চলতি বছরের ৪ নভেম্বর বাড্ডা থানায় একটি গারো তরুণী ধর্ষনের থটনায় মামলা হয়, মামলা নম্বর ৩৭। এই ঘটনায় আটকের পর আদালত থেকে পালানোর অভিযোগে রাজধানীর কোতয়ালী থানায় আদালত অবমামনা সংক্রান্ত একটি মামলা হয়। মামলা নম্বর ১৮।

 

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলেও বাড্ডা থানা পুলিশ জানিয়েছে।

 

এর আগে, চলতি বছরের ১১ নভেম্বর (শুক্রবার) রাতে রুবেলকে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন র‌্যাব-১-এর সদস্যরা। পরদিন সকালে শনিবার তাকে বাড্ডা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় এক গারো তরুণীর ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪ নভেম্বর (শুক্রবার) বাড্ডা থানায় ওই তরুণী বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এতে রুবেল, সালাউদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করা হয়।

সূত্র: বাংলা নিউজ