জিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক জরুরী অবস্থা তুলে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জিকা ভাইরাস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও এখনো এই রোগ প্রাদুর্ভাব রয়ে গেছে বেশ কিছু অঞ্চলে। নয় মাস স্থায়ী হুঁশিয়ারি বন্ধ করলেও মশা বাহিত এই রোগকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এবং স্থায়ী প্রভাব বিস্তারকারী হুমকি বলেই বর্ণনা করছে সংস্থার মুখপাত্র।

 

জিকা ভাইরাস যখন বিশেষ করে আমেরিকা মহাদেশে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন এটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থার পর্যায়ে পরে বলে উল্লেখ করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, নয় মাস পর সেই আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নেবার ঘোষণা দিল ডব্লিউ এইচ ও। অবশ্য রোগটি এখনো রয়ে গেছে বলেই জানাচ্ছে সংস্থাটি ।

 

এই ভাইরাস সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হয়ে এসেছিল নবজাতকদের জন্যে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গর্ভবতী মা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার অনাগত শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট হতে পারে, মস্তিষ্কের গঠন থাকতে পারে অসম্পূর্ণ। অন্তত ৩০টি দেশে এমন ত্রুটি সম্পন্ন শিশুর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

 

ভাইরাসটি কেবল মশার মাধ্যমেই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে যৌন মিলনের মাধ্যমেও এটি ছড়িয়ে থাকে।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ড্যানিয়েল ইপস্টেইন বলছেন, ”এখনো অন্তত ৭৫টি দেশে এটি আবারো মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরতে পারে- যদিনা সেখানে মশা নিধনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়। সেই সঙ্গে জিকা ভাইরাস প্রতিরোধের কর্মসূচীগুলোও অব্যাহত রাখা উচিত বলে তিনি মনে করেন।”

 

ল্যাটিন আমেরিকা, ক্যারিবীয় এলাকা এবং এর আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন জিকা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘস্থায়ী পন্থা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা