জাল সনদ দিয়ে ২০ বছর চাকরি, উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাতই শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আহসান উল্লাহের বিরুদ্ধে জাল সনদ দেখিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের বর্তমানে উপাধ্যক্ষ ও সাবেক প্রভাষক (কম্পিউটার)
মো.আহসান উল্লাহ ওরফে জুলহাস, জামালপুর তৎকালীন জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী, (নট্রামস) এর আওতাভুক্ত কোনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করা সত্ত্বেও তিনি নট্রামস কর্তৃক ইস্যু দেখানো কম্পিউটার প্রশিক্ষণের একটি জাল সনদপত্র দাখিল করে ২৩/০৯/২০০৩ সালে তৎকালীন কম্পিউটার প্রভাষক পদে (যা বর্তমানে প্রভাষক আইসিটি পদে) দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজে চাকরি নেন। তিনি বর্তমান সময় পর্যন্ত এই পদে চাকরি করে সরকারি বেতন ভাতা গ্রহণ করায় ১৭৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মো. আহসান উল্লাহ গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে দিগপাইত শামসুল হক ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক (কম্পিউটার) পদে যোগদান করেন।

আরও বলা হয়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি জাল/ভুয়া সনদ দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরি করছেন ও সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া নিয়োগ জাল জালিয়াতি ও টেম্পারিং করেও মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

অনুসন্ধানকালে অভিযোগ প্রমাণের জন্য মো. আহসান উল্লাহের তার আবেদনের সঙ্গে দাখিলকৃত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বিষয়ক সনদপত্র, যা জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী, (নট্রামস) কর্তৃক ইস্যু দেখানো, বগুড়ার দুদকের পরিচালকের প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপাধ্যক্ষ‌ আহসান উল্লাহ বলেন, আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে জাল সনদ কিনা, আমার কিছু শত্রু রয়েছে তারা অভিযোগ করেছিল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে বিচার হবে।