‘পদ্মায় জাল ফেললে মিস নাই…..

নিজস্ব প্রতিবেদক: তখন বিকেল পৌঁনে পাঁচটা, পদ্মা পাড়। বাবু-অন্তর দুই ভাই। মাছ ধরাতে ব্যস্ত তারা। বড় ভাই বাবু জাল ফেলে। আর ছোট ভাই অন্তরের কাজ মাছ সংগ্রহ করা আর নৌকা সামলানো। শুধু নৌকা সামলালেই হবে না, ফুঁটো নৌকার পানিও সেচতে হবে তাকে। নগরীর পঞ্চবটি খড়বোনা এলাকার বাবু-অন্তরের সাথে কথা হয়। বাবা দিনমজুরের কাজ করেন আর মা বাড়িতে। দুই ভাই স্কুলে যায় না। হালকা-পাতলা কোনো কাজ করে বাবার সংসারে সাহায্য করে। সারাদিন এপাড়া ওপাড়া ঘুরে বেড়ায় তারা।

বড় ভাই বাবু মাছ বিক্রির জন্য বাঁধের ধারে বেড়াচ্ছে। ছোট ভাই অন্তর ফুটো নৌকার পানি সেচছে। কাছে যেতে বাবু বলে, মামা মাছ নিবেন। অনেক মাছ পেয়েছি। তিন’শ টাকা লাগবে, ছোট-ছোট ইলিশ তাই। তার মাছপাত্রে ১০টা ইলিশ, সঙ্গে অনেকগুলো চিংড়ি। একটু পরেই বাঁধ সংলগ্ন বাড়ির এক ব্যক্তি ২৫০ টাকা দিয়ে কিনে নিলেন সব মাছ।

অন্তর বলেন, ‘বিকাল চারটার পর আসলাম নদীতে। আমি তেমন পারি না খ্যাপলা জাল ফেলতে। খ্যাপলা মারলে বেশি ইলিশের বাচ্চা (জাটকা) পাওয়া যাচ্ছে। মিস নাই ভাই। জাল ফেললে একটা-দুই করে ইলিশ উঠছে। আগে তো পাওয়াই যেতো না ইলিশ। ইলিশের সঙ্গে ছোট ছোট চিংড়ি পাওয়া যাচ্ছে।’

বড় ভাই বাবু বলে, ‘প্রতিদিন সাড়ে তিন’শ থেকে পাঁচশ’ টাকা পর্যন্ত ইলিশ মাছ বিক্রি করি। কয়েক দিন আগে বেশি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছিলো। এখন অনেক কম। মাছ মারা শেষে যে ইলিশ পাই, সেটা বাড়িতে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত মাছ মারবো।’

অন্যদিকে, বিকেলের দিকে দেখা যায়, পদ্মায় ছোট-বড় নৌকায় জেলেদের মাছ ধরতে। তারা বলেন, মাছ ধরা আরো কিছুদিন বন্ধ রাখলে এই বাচ্চা (জাটকা) ইলিশগুলো আরো বড় হতো। সরকার মাছ ধরা নিষেধ করার ফলে আজ আমরা অল্প দামে ইলিশ কিনে খেতে পারছি।

 

স/আ