জামিন হয়নি রত্নাকে গাড়িচাপা দেয়া সেই মাইক্রোবাস চালকের

রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে সাইক্লিং করার সময় পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্নাকে পাশ থেকে ধাক্কা মারা মাইক্রোবাস চালক এস এম দারুস সালামের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

এর আগে রোববার (৩০ আগস্ট) ঘটনার দায় স্বীকার করে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে জবানবন্দি দেন মাইক্রোবাস চালক এস এম দারুস সালাম। ধাক্কা মারার পর লোকজনের ভয়ে সে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান তিনি। জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেন। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ দিন দু’দিনের রিমান্ড শেষ তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। চালক ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক এস এম মোবারক হোসেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অপরদিকে চালক দারুস সালামের আইনজীবী ইমরুল হাসান জামিন চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক তার জামিন শুনানির জন্য সোমবার (৩১ আগস্ট) দিন ধার্য করেন।

জবানবন্দিতে মাইক্রোবাস চালক এস এম দারুস সালাম বলেন, ‘আমি রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোড দিয়ে মাইক্রোবাস চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় রেশমা নাহার রত্নার সাইকেল আমার মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ধাক্কা মারার পর আমি লোকজনের ভয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যা-ই। এরপর আমি শুনতে পাই, আমার মাইক্রোবাসে ধাক্কা লাগা তরুণী মারা গেছেন।’

এর আগে গত ২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত তার দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ২৬ আগস্ট রাজধানীর শাহজাহানপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের সময় একটি টয়োটা মাইক্রোবাসও জব্দ করা হয়। এই গাড়ির মালিকও তিনি।

এদিকে ওই ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট মোহাম্মদ নাঈম নামে এক চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন নাঈমের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২২ আগস্ট রিমান্ড শেষে নাঈমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নাঈম বর্তমানে কারাগারে আছেন।

উল্লেখ্য, ৭ আগস্ট রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার চন্দ্রিমা উদ্যান সংলগ্ন লেক রোডে সাইক্লিং করার সময় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্না। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় রত্নার দুলাভাই মো. মনিরুজ্জামান মামলা দায়ের করেন।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ