জানতাম সবাই সমালোচনা করবে: কৌতিনহো

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ব্রাজিলের হেক্সা মিশনে এ নিয়ে চারবার ছেদ পড়ল। এরমধ্যে ২০০৬, ২০১০ এবং ২০১৮ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে সেলেকাওদের। আর ২০১৪ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে সেমিফাইনালে গেলেও মর্মান্তিকভাবে হারতে হয়েছিল ব্রাজিলের।

ফুটবল পাগল ব্রাজিলের মানুষের কাছে রানার্স আপ হওয়াটাও কোন ফুটবল সাফল্য না। সেখানে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। নেইমারদের দিকে তির তো ছুড়বেই। হোক না সেটা ভালো খেলে জয়। আর তাই ব্রাজিলে প্লে মেকার কৌতিনহো জানিয়েছেন, তারা সবদিক থেকে সমালোচনার শিকার হবেন এটা তারা জানেন।

বার্সেলোনায় খেলা ব্রাজিল তারকা কৌতিনহো গ্রুপ পর্বের প্রথম দু্ই ম্যাচে দারুণ দুই গোল করেন। এরপর তৃতীয় ম্যাচে দারুণ গোলে সহায়তা করেন। কিন্তু নক আউট পর্বে তার পা থেকে তেমন মনে রাখার মতো কিছু বেরুইনি। ব্রাজিলের খেলার ধরণ এবং জেতার মানসিকতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ফাইনাল পর্যন্ত জেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তাদের বিপক্ষে আমরা আমাদের সেরা শটগুলো দিতে পারিনি। তবে আমাদের দলের সবাই তাদের সর্বোচ্চটা দিয়েছে।’

কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে দলের বিদায় নেওয়ায় সবদিক থেকে তাদের দিকে সমালোচনার তির ধেয়ে আসবে এটা জানতেন বলেন জানান ব্রাজিল মিডফিল্ডার কৌতিনহো। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত এখন আমরা সব দিক থেকেই সমালোচিত হবো। তবে তাতে জীবনে ছেদ পড়বে না। এটাই ফুটবল। আপনি জিতবেন নয়তো হারবেন। হারার কারণে আমরা খুব হতাশ। কারণ আমরা খুব ভালোভাবে জিততে চেয়েছিলাম। ব্রাজিলিয়ানরা যেমনটা চাই। কিন্তু আমরা তা পারিনি।’

ব্রাজিলের এই দলের অনেকের এটা শেষ বিশ্বকাপ। বিশেষ করে ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের দলের নয় জনের বয়স ৩০ বছরের ওপরে। তারা আরও একটি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবেন না। কৌতিনহো নিজেও জানেন না আরও একটি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ তিনি পাবেন কিনা।

মিরান্ডা জানেন না এটাই ব্রাজিলের হয়ে তার শেষ কোন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ কিনা। কৌতিনহো বলেন, ‘কারা অবসর নেবে, কে নেবে না তা বলা কঠিন। সবাই একটি প্রজন্মের অংশ। আমি যেমন দল থেকে বিদায় বলছি না। তবে আগামী বিশ্বকাপ দলে আমি থাকবো কিনা তাও জানি না।