জাতীয় নির্বাচনের জন্য নতুন আইন করার প্রস্তাব সিইসির

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নতুন করে আইন করার প্রস্তাব করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এ অনেক সংশোধন ও পরিবর্তন এসেছে। এখন নতুন আইন তৈরি করতে কমিশন সচিবালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার ওই নির্দেশনার কারণে বুধবারের কমিশন সভায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর বাংলায় অনুবাদ বিষয়ে এজেন্ডা থাকলেও তা নিয়ে আলোচনা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আগামী সভায় আলোচনা করা হবে। যদিও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ রহিত করে নতুন আইন করার বিষয়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কমিশন সভায় অংশ নেওয়া কয়েকজন কর্মকর্তা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আরপিওতে সংশোধনী আনা হয়েছিল। একইসঙ্গে ওই সময় আরপিও এর বাংলা অনুবাদের খসড়া প্রস্তুত হলেও সময় স্বল্পতার কারণে ইসি সেটার থেকে পিছু হটে।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ  বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয় একটি নতুন আইন করার কথা বলেছেন। তবে আরপিও বাংলায় অনুবাদ হবে নাকি জাতীয় নির্বাচনের জন্য নতুন আইন করা হবে সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী কমিশন সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’

জানা গেছে, বুধবার বিকালে সিইসির সভাপতিত্বে কমিশনের ৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ জারি হয়। বিভিন্ন নির্বাচনের আগে এটি সংশোধন হয়েছে, তবে নতুন শিরোনামে কোনও আইন হয়নি। এ অধ্যাদেশের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহ্য মিশে আছে। এ কারণে সবার পড়ার সুবিধার্থে এ অধ্যাদেশকে বাংলায় রূপান্তর করার প্রস্তাব করা হয়েছিল কমিশন সভায়।

জানা গেছে, এর আগে ড. শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশনও নতুন আইন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। তখন আওয়ামী লীগ এতে আপত্তি জানিয়েছিল।

সভায় অংশ নেওয়া কয়েকজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সভায় আরপিও নিয়ে আলোচনা উঠলে এ প্রসঙ্গে সিইসি কথা বলেন। তিনি সভায় বলেন, ‘আরপিওতে অনেকবার সংশোধন করা হয়েছে। অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এটিকে নতুন আইন করা যেতে পারে। আমরা নতুন আইনের প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠাবো। যা করার সরকার করবে।’

কর্মকর্তারা জানান, কমিশন সভায় সিইসির এ বক্তব্যের পর আরপিও বাংলায় রূপান্তরের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কমিশন থেকে নতুন সিদ্ধান্ত আসার পর এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। এদিকে কমিশন সভার কার্যপত্রে দেখা গেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ বাংলায় অনুবাদসহ ৮টি বিধিমালায় সংশোধনী আনার জন্য কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়। কনসালটেন্ট আরপিওর বাংলায় অনুবাদ করে ইসিতে জমা দেন। ওই বাংলায় অনুবাদ আইনে রূপান্তর করার জন্য কমিশন সভায় তোলা হয়েছিল।