জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটার ‘রেড জোনে’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চালু করা নতুন কোভিড-১৯ ওয়েলনেস অ্যাপের রেড জোনে পাওয়া গেছে তরুণ পেস বোলিং অল-রাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে। বিষয়টি এমন নয় যে তারা কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছেন। কিন্ত অ্যাপে তথ্য ইনপুট দিয়ে রেড জোনে পড়ে গেছেন এই দুই ক্রিকেটার। অ্যাপে মোট ১৮টি প্রশ্ন রাখা আছে। ওই প্রশ্নের জবাবের ভিত্তিতেই অ্যাপটি বলে দিবে এই মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটাররা কোন জোনে আছেন।

গত দুই দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন সাইফুদ্দিন। তিনি খাবারের কোনো স্বাদ পাচ্ছেন না। আর বিপ্লব ভুগছেন শ্বাসকষ্টে। বিপ্লবও তাই উল্লেখ করেছিলেন। করোনা প্রশ্নে জবাব এসেছে নেগেটিভ। প্রথম ধাপে বিসিবি ৪০ ক্রিকেটারকে যুক্ত করেছে। যারা বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক নিজেদের তথ্য দিতে শুরু করেছেন। পরের পর্বে অনুর্ধ-১৯ দলের ক্রিকেটারদের যুক্ত করা হবে এই অ্যাপে।

বিসিবির ম্যানেজমেন্ট ইনফর্মেশন সিস্টেম (এমআইএস) এর ম্যানেজার নাসির আহমেদ নাসু আজ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা দুইজন ক্রিকেটার পেয়েছি। বিপ্লব ও সাইফুদ্দিন রেড জোনে। অ্যাপের প্রশ্নের জবাব দেয়ার পর রেড জোনে পড়ে যান বিপ্লব। তার শ্বাসকষ্ট আছে। পরে জানা গেল তার দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমার সমস্যাও আছে।’

তিনি বলেন, ‘বিপ্লব কোভিড-১৯ পরীক্ষা করিয়েছেন, তবে রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে। অপরদিকে সাইফুদ্দিন জ্বরে ভুগছেন। স্বাদ পাচ্ছেননা খাবারে। এই অ্যাপটি মোবাইল কেন্দ্রিক। খেলোয়াড়দেরকে এই অ্যাপে ঢুকতে হবে এবং পরে ১৮টি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। তাদের উত্তর আমাদের কেন্দ্রীয় সার্ভারে জমা হবে। যার মাধ্যমে আমরা তাদের শারিরীক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারব।’

খেলোয়াড়দের এইসব জবাব অ্যাপটি বিশ্লেষণ করবে। এরপর ভাগ করবে লাল, কমলা ও সবুজ ক্যাটাগরিতে। যার দ্বারা তাদের বিষয়ে ঝুঁকি পর্যালোচনা করা সম্ভব হবে। এরই ভিত্তিতে তাদেরকে অনুশীলনের সুযোগ দেবার বিষয়টি নির্ধারণ করা হবে। নির্ধারিত কর্মকর্তারা এসএমএসের মাধ্যমে জেনে যাবেন কারা আছেন লাল ক্যাটাগরিতে।

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, রেড জোন মানে এই নয় যে একজন খেলোয়াড় কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি বিশ্লেষণ করে বলেন, ‘রেড জোন মানে বুঝতে হবে যে সেই খেলোয়াড়ের কোনো সমস্যা আছে এবং আমাদেরকে তার সঙ্গে কথা বলতে হবে।’

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ