মঙ্গলবার , ১০ নভেম্বর ২০২০ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

জলবায়ুর পরিবর্তনে বাড়বে ক্যান্সার রোগী

Paris
নভেম্বর ১০, ২০২০ ৫:৫০ অপরাহ্ণ

আমাদের জলবায়ুর নিয়মিত পরিবর্তন হচ্ছে। তাপমাত্রা, দাবানল, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা ও তীব্রতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, আর কমছে বাতাসের মান। সেই সঙ্গে জলবায়ুর বিরূপ পরিবর্তন বাড়াবে ক্যান্সারের মাত্রাও, বিশেষ করে ফুসফুস, ত্বক ও অন্ত্রের।

‘দ্য ল্যানসেট অনকোলজি’ শীর্ষক সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা তুলে ধরেছেন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’য়ের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে।

পরিবেশে দূষণ, অতিবেগুনি রশ্মির তেজষ্ক্রিয়তা, বায়ুদূষণ, সংক্রামক জীবাণু, খাদ্য ও পানির মজুদে বিশৃঙ্খলা ইত্যাদি বিষয় এ গবেষণায় বিবেচনায় আনা হয়।

গবেষকদের দাবি, বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলা। ক্যান্সার শনাক্ত করা, এর চিকিৎসা, পরিচর্যা সব কিছুই জটিল প্রক্রিয়া।

গবেষণার প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক রবার্ট এ হিয়াত বলেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে লড়াই চলছে ঠিক, কিন্তু ‘গ্রিন হাউস গ্যাস’য়ের নির্গমন কমাতে মানুষের মাঝে যথেষ্ট চেষ্টা নেই।

জনসাধারণের স্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের আছে বড়মাপের প্রভাব। আর জলবায়ু বিরূপ পরিবর্তন হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাবে না, তাই মানুষজাতির স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব চলতেই থাকবে দূরবর্তী ভবিষ্যৎ পর্যন্ত। বিশেষ করে পরিবেশের উচ্চ তাপমাত্রা, দূষিত বাতাস, দাবানল ইত্যাদির কারণে মানুষের শ্বাসতন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের ঝুঁকি বাড়ে মারাত্মক হারে।

গবেষকরা আরও জানান, ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার পরিবেশগত প্রধান কারণ হলো– বায়ুদূষণ, অতিবেগুনি রশ্মির তেজষ্ক্রিয়তা, বাণিজ্যিক কলকারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া এবং খাদ্য ও পানির মজুদে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা।

পরিসংখ্যান বলে, ফুসফুস ক্যান্সার ইতিমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী। আর বায়ুদূষণে ক্রমবর্ধমান গতি এর প্রাণনাশের ক্ষমতাকে আরও বাড়াবে। ধারণা করা হয়, একসময় ১৫ শতাংশ ক্যান্সারের জন্য দায়ী হবে শুধুই বায়ুদূষণ।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সব চিকিৎসা খাতের মানুষকে ঝাপিয়ে পড়তে হয়েছে করোনাভাইরাস দমনে। ফলে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা কমেছে, থমকে গেছে এই রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর

সর্বশেষ - লাইফ স্টাইল