জন্মদিনে দুই হাতির আশির্বাদ পেলেন শাকিব খান

ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের জন্মদিন আজ।  ১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ শাকিব জন্মগ্রহণ করেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী গ্রামে। বাবার চাকরিসূত্রে অবশ্য দীর্ঘ সময় নারায়ণগঞ্জেও পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বাস করেন শাকিব। প্রকৃত নাম মাসুদ রানা হলেও চলচ্চিত্রে এসে শাকিব খান নাম পান। ‘খান’ বংশ থেকে না এসেও তিনি কিং খান হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে পরিচিত।

বর্তমানে একটি ছবির শুটিঙের জন্য শাকিব খান এই মুহূর্তে পাবনায় অবস্থান করছেন। সেখানেই শাকিব জন্মদিনের প্রথম প্রহরে পেলেন হাতির আশির্বাদ। জানা গেছে, বিশেষ এই দিনকে কেন্দ্র করে ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আয়োজন ছিল। প্রথম প্রহরেই ঢাক-ঢোল, বাদ্যি বাজনা দিয়ে শাকিবকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। আয়জনে ছিল দুটি হাতি। শাকিবকে হাতি দু’টি শুর দিয়ে দিয়ে আশির্বাদ করে।

শাকিবের জন্মদিনের প্রথমক্ষণের এই আয়োজনে সঙ্গে ছিলেন কলকাতা থেকে আসা নায়িকা দর্শ্না। এছাড়াও বাংলাদেশি অভিনেতা শাহেদ উপস্থিত ছিলেন।

শাকিব তার কর্মজীবনে একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার। তিনি ২০১০ সালের ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না, ২০১২ সালের খোদার পরে মা, ২০১৫ সালের আরো ভালোবাসবো তোমায় এবং ২০১৭ সালের সত্তা চলচ্চিত্রের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

শাকিব খানের বাবা বাবা আব্দুর রব ছিলেন একজন সরকারি কর্মচারী এবং মাতা নূরজাহান একজন গৃহিণী। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন এক বোন ও এক ভাই। বাবার চাকরির সুবাদে তার শৈশব কৈশোর থেকে বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জ জেলায়।

শাকিব খান তার ইচ্ছে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইচ্ছে ছিল বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) হব। কারণ আমি সায়েন্সের (বিজ্ঞানের) ছাত্র ছিলাম। সবসময় বুকে লালন করতাম ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করব। এর বাইরে যে অপশনটি (বিকল্পটি) আমার মধ্যে কাজ করতো তা হলো ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) হওয়া। খুব পছন্দ ছিল এই পেশাটিও। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার পর হঠাৎ করেই যেন ছোটবেলার স্বপ্নগুলো হারিয়ে যেতে থাকল।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ