জন্ডিস হলে যা করণীয়

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে তাকে জন্ডিস বলে। জন্ডিস নিজে কোনো রোগ নয়, এটি রোগের উপসর্গ।

কারণ

একটি লোহিত রক্তকণিকা ১২০ দিন পর স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে যায়। ভাঙা অংশগুলোরই একটি হচ্ছে বিলিরুবিন, যা লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয় এবং কিছু অংশ কিডনি দিয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে এবং কিছু অংশ অন্ত্র দিয়ে মলের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

এখন কোনো কারণে রক্ত ভাঙার হার যদি বেড়ে যায় বা লিভার আক্রান্ত হয়ে বিলিরুবিন প্রক্রিয়াজাত বাধাপ্রাপ্ত হয় বা পুরো প্রক্রিয়ার যেকোনো অংশে বাধার সৃষ্টি হলে জন্ডিস দেখা দেয়?

লক্ষণ

জন্ডিসের সঙ্গে আর কী কী লক্ষণ থাকবে তা নির্ভর করে জন্ডিস হওয়ার কারণের ওপর।

হেপাটাইটিস রোগে জন্ডিসের পাশাপাশি দেখা দেয়—

♦ ক্ষুধামন্দা

♦ অরুচি

♦ বমি ভাব

♦ জ্বর জ্বর অনুভূতি

♦ মৃদু বা তীব্র পেট ব্যথা

♦ প্রচণ্ড দুর্বলতা

করণীয়

জন্ডিসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই বরং অনেক ওষুধ লিভারে মেটাবলিজম হয় এবং এ সময় লিভার আক্রান্ত থাকে বলে না বুঝে ওষুধপত্র খেলে লিভারের আরো ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। ফলে জন্ডিসে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না। এ সময় পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে, প্রচুর তরল এবং নরম ও সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে।

হেপাটাইটিস এ ও ই খাদ্য ও পানির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আর বি, সি এবং ডি দূষিত রক্ত, সিরিঞ্জ এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই সব সময় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার খেতে হবে। শরীরে রক্ত নেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করাটাও খুবই জরুরি। হেপাটাইটিস এ-এর আশঙ্কামুক্ত থাকতে হেপাটাইটিস এ এবং বিশেষ করে হেপাটাইটিস বি-এর ভ্যাকসিন সবারই গ্রহণ করা উচিত?

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. শাফেয়ী আলম

মেডিক্যাল অফিসার, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, ঢাকা

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ