জনসমাগম কমাতে অলি-গলিতে ব্যারিকেড

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে চলছে আট দিনের কঠোর লকডাউন। রাজধানীতে জনসমাগম রোধে রাস্তায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় জনসমাগম ঠেকাতে দেওয়া হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড।

শুক্রবার রাজধানীর বাঁশেরপুল-কোনাপাড়া, সারুলিয়া, গেন্ডারিয়া, স্বামীবাগ, টিকাটুলি-ওয়ারি, নারিন্দা, সেগুনবাগিচা, তেজগাঁও, কারওয়ানবাজার এলাকা ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা যায়।

রাজধানীর গেন্ডারিয়ার কাঠেরপুল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে রাস্তা।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসিবুল হক বলেন, পুলিশই এ ব্যারিকেড দিয়েছে বলে শুনেছি। এটা আসলে সমস্যা বাড়াচ্ছে। কারণ আমরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাজার করতে পারছি। সেই বাজার নিয়ে বাসায় ফেরাটা কঠিন হয়ে পড়ে।

আরেক বাসিন্দা নিলুফার জাহান বলেন, মানুষকে আসলে নিজেরই সচেতন হতে হবে। কারণ করোনা একা আসে না। সেজন্য এ লকডাউনটা জরুরি ছিল। কিন্তু আমরা যারা মধ্যবিত্ত তাদের অর্থনৈতিক দিকটাও সরকারকে ভাবতে হবে।

টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেটের সামনে দিয়ে নারিন্দামুখী রাস্তাটি ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ। সেখানে পুলিশের এক এসআই জানান, পথচারীদের জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে কেন তারা ঘর থেকে বের হয়েছেন। যদি সন্তোষজনক উত্তর না পাই, তাদের ঘরে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে যাতে মানুষ অযথা গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করতে না পারেন।

একই দৃশ্য দেখা গেছে ডেমরার বাঁশেরপুল এলাকায়। সেখানে বড় বড় বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে রাখা হয়েছে। এতে সিএনজি-অটোরিকশা তো দূরের কথা মোটরসাইকেল প্রবেশই দুরুহ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শফি উদ্দিন বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসে দেশজুড়ে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। তাই এলাকার মানুষজনকে ঘরে রাখতে এবং বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে সচেতন মহল হয়তো এ কাজটি করেছে। তবে আমি মনে করি এটি ভালো উদ্যোগ।

একই কথা জানিয়েছেন ৬৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেত্রী খায়রুন নাহার মনি, মো. রসুল মিয়া, আবদুল খালেক ও রাকিবুল ইসলাম। তবে সরকার ঘোষিত লকডাউনে ব্যতিক্রমও আছে। ডিএসসিসি ৬৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন তার এলাকায় প্রধান প্রধান সড়কে বাঁশের ব্যারিকেড না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

একইসঙ্গে ৬৮নং ওয়ার্ডের কোনো বাসিন্দা অভাব-অনটনে থাকলে জরুরিভিত্তিতে তার বাসায় খাবারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন তার টিমের সদস্যদের। শুধু তাই নয়, কেউ অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস প্রস্তুত রেখেছেন।