জনগণের চাহিদা অনুযায়ী ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেশিন ব্যবহার বন্ধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামকে স্মারকলিপি দিয়েছে রাজশাহী মহানগর বিএনপি। আজ রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি দেন মহানগর বিএনপির নেতারা।

এসময়ে ইভিএম বন্ধসহ নির্বাচনের পুর্বে সকল প্রকার অনিয়ম দূর করার জন্য নির্বাচন কমিশনারের নিকট দাবি জানালে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী অতি ক্ষুদ্র আকারে রাজশাহীসহ বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএম ব্যবহার ও ক্রটিযুক্ত থাকলে তাঁকে জানালে তিনি সাথে সাথে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

তিনি আরো বলেন, আইনের মধ্যে থেকেই এটা ব্যবহার করা হবে। তবে নির্বাচন কমিশন জনগণ ও সকল দলের আস্থা তৈরি করার জন্য কাজ করছেন। সকলের অংশগ্রহনে দেশে অবাধ ও ষুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে স্মারকিলিপিতে উলেখ করা হয়, আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশনের সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তফশীল ঘোষণার পূর্বেই সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুবিধা বা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর থেকে, রাজশাহী মহানগর ও জেলার ছয়টি আসনে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০টিরও বেশি গায়েবী মামলা হয়েছে এবং প্রায় ১২০ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় দুই হাজার পাঁচশ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিগত রাসিক নির্বাচনে, ভোটের আগের দিন রাত্রে ভোট প্রদান এবং ভোটের দিনে ব্যালট পেপার না থাকা সহ দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারদের সরাসরি হস্তক্ষেপে একটি প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রদানে সহায়তার নানাবিধ অনিয়ম উঠে এসেছে।

এমতাবস্থায় নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ সহ দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা ব্যহত হচ্ছে। অথচ নির্বাচন কমিশন এ বিষয় গুলোতে সম্পূর্ণ নির্বিকার। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সরকারের ইচ্ছা পূরণে পুরোপুরি নিয়োজিত। একইসাথে গায়েবী মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী থাকার সুযোগে যে কাউকে হয়রানি ও গ্রেফতার বাণিজ্য চালিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বাড়ীছাড়া ও এলাকাছাড়া করা হচ্ছে। নগরীর কোথাও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের একত্রিত হওয়া তো দূরের কথা তাদের স্বাভাবিক ব্যক্তিগত নাগরিক জীবন সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত। এমতাবস্থায় সম্ভাব্য নির্বাচনী পরিবেশ এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম পুরোদস্তর ভাবে ব্যহত হচ্ছে।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, মিজানুর রহামন মিনু, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পেিরবশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

অন্যদের মধ্যে বোয়ালিয়্ াথানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহামন পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব শহীদ আলম, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

স/অ